নির্বাচন কমিশন সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে সরকারের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করে থাকে। যেমন রকিব কমিশনকে দেখেছি কোনো প্রকার শর্তপূরণ করেনি এবং তারা প্রমাণ দেখাতে পারেনি এমন একটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে এবং গুলশান থেকে নির্বাচিত করেছে। এরকম অসংখ্য প্রমাণ আছে যে নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের কাজ করে থাকে।
তিনি বলেন, আমার একান্ত বিশ্বাস তারা নির্বাচন কমিশন সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে সরকারের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার (৯জুলাই) এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন তারা যে আইন করেছে আসলে বিরোধী দলগুলোকে বিলুপ্ত করার জন্য করেছে, বিশেষ করে বিএনপিকে। আগে যে আইন ছিল সেখানে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া লাগবে না কিন্তু বর্তমান যে আইন করা হয়েছে সেই আইনে বলা আছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া লাগবে এবং আরো বলা আছে কেউ যদি বার্ষিক প্রতিবেদন জমা না দেয় তাহলে দলের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে এবং ওই দলের নামে অন্য যেকোন দলের নিবন্ধন ও হতে পারে। আমি মনে করি এই আইনটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত আইন ইংলিশে লেখা। একটা আইনের একটা অংশ বাংলা করা অনর্থক ,অর্থহীন। যারা এ কাজটি করেছে তারা নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশনের কমিশন শব্দটাও বাংলায় না ইংলিশে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান নাম বাংলা না করে অন্য কিছু বাংলা করা অনৈতিক অগ্রহণযোগ্য।
বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপনের পরিচালনায় "রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধন আইন" শীর্ষক আলোচনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ, নাগরিক ঐক্যের আহবায়বাক মাহামুদুর রহমান মান্না, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব আব্দুর রশীদ প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন