করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ফি বাতিলের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আজ রোববার জোটের এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে নেতারা এই সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় জোটের প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ২০ দলীয় জোট নেতারা। একাধিক নেতা প্রশ্ন রাখেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না যদি সাক্ষাৎ করতে পারেন, তাহলে তারা কেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না?
এ সময় শরিক দলের আরেক নেতা প্রস্তাব রাখেন, সব নেতার সাক্ষাতের সুযোগ না হলেও অন্তত জোটের সিনিয়র কয়েকজন নেতারা গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। জবাবে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান জানান, এটা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি দলীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ ও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ জানান জোট নেতারা। আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ও সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে।
বৈঠক সম্পর্কে জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্ত জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন। শরিক দলের এক নেতা জানান, বৈঠকে করোনাভাইরাস সংক্রমন পরিস্থিতি, চিকিৎসা ব্যবস্থার দুরাবস্থা, ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সরকার চুপ থাকাসহ সরকারের নানা ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনকে কালো আইন হিসেবে আখ্যা দেন নেতারা। করোনা মহামারির মধ্যে এ ধরনের আইন করার বিষয়টিকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে বৈঠকে মত দেন তারা। বিনা শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
জোটের কয়েকজনের মধ্যে অসন্তোষের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বৈঠকে বলেন, 'যাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল, তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে আর কোনো ক্ষোভ নেই।
জোটের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন। এ ছাড়া এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, এলডিপির একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের ও বাংলাদেশ ন্যাপের একাংশের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন