দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত কারণে নিজেই কারাগার থেকে বের হতে চাইছেন। আর এ জন্য সরকারের আনুকূল্য নিতেও রাজি তার দল। বিএনপির নেতারা বলছেন, প্যারোলে মুক্তি চাইলে অনেক আগেই হয়তো তার মুক্তি হতো। কিন্তু সবসমই তারা তাদের নেত্রীর এক ‘আপোষহীন ভাবমূর্তি’ তুলে ধরে এসেছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দয়ার ওপর নির্ভর করে বসে আছি। তিনি দয়া ও করুণা করলেই কেবল খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তাদের নেত্রীর প্যারোলে মুক্তির বিষয়কে পরিবারের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের মধ্যে একতা বা ঐকমত্য নেই। বোঝা যাচ্ছে তাদের মধ্যে নানা জনের নানা মত, ফলে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এবং সিদ্ধান্তগুলি কন্ট্রাডিক্টরি (পরস্পরবিরোধী)।
তিনি বলেছেন, একজন লিডার, আনকোয়েশ্চেনেবল (প্রশ্নের উর্ধ্বে) লিডার, তার মুক্তির ব্যাপারটা পরিবারের ওপরে চাপিয়ে দেয়াটা আমি তো মনে করি বিএনপির লিডারশীপের জন্য লজ্জার।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বাংলাট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপিতে নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ টানাপড়েন যাচ্ছে। দলটির আত্মসমালোচনা কী তা মানুষকে পরিষ্কার করা দরকার। জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এবং কোথায় কোথায় তারা ভুল করেছে, ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করবে কিনা, এসব বিষয় রাজনৈতিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) কালের কণ্ঠের এক মতামতে লিখেছেন, নিজেরা নিজেদের আঙিনায় গর্ত খুঁড়লে অন্যরা তো সেই সুযোগ নেবেই। ধরার এটাই নিয়ম। দলের শীর্ষ নেতারা সবাই তো বাইরে। কিন্তু সবকিছুর দায় ও পরিণতি ভোগ করছেন খালেদা জিয়া একাই। জেলে তো অফুরন্ত সময়, নিশ্চয়ই তিনি পেছনে ফিরে সব কিছু নতুন করে দেখার চেষ্টা করছেন। আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন