ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও দলের সিনিয়র নেতা এম এ সাত্তারকে কো-চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪জনকে বিভিন্ন পদে পদায়ন করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চিফ প্যাট্রন (প্রধানপৃষ্ঠপোষক) রওশন এরশাদ। তবে এভাবে পদায়নে তার কোনো এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির বিভন্ন পদে নিয়োগ প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র পার্টি চেয়ারম্যানের।
জিএম কাদেরের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রেরিত এবং কিছু অনলাইন মিডিয়ায় প্রচারিত জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদানের একটি বিভ্রান্তিকর খবর আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক কিছু পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এভাবে কোনো নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষকের নেই।’
গণমাধ্যমের প্রতি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার বা প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক জাতীয় পার্টির বিভন্ন পদে নিয়োগ প্রদানের ক্ষমতা একমাত্র পার্টি চেয়ারম্যানের। অন্য কারও পক্ষে জাতীয় পার্টির কোনো পদে কাউকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা চেয়ারম্যান ব্যাতিত অন্য কারও নেই। অতএব, এমন সংবাদে বিজ্ঞ গণমাধ্যম, জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’
আজ দুপুরে এক চিঠিতে সাদ ও সাত্তারকে কো-চেয়ারম্যানসহ আরও ২৪জনতে বিভিন্ন পদে পদায়ন করেন রওশন এরশাদ। সে অনুযায়ী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে পদায়ন করা হয় অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু, নূরে হাসনা লিলি চৌধুরী, অধ্যাপিকা রওশন আরা মান্নান, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশীদ, মাহজাবিন মুর্শেদ, নুরুল ইসলাম ওমর, আরিফুর রহমান খানকে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হয়েছে আমানত হোসেন আমানত ও সাবেক এমপি ইয়াহিয়াকে। যুগ্ম মহাসচিব পদে মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া ও রেজাউল করিমকে পদায়ন করা হয়।
গণমাধ্যমে রওশন বলেন, ‘সবাই মিলে যাতে দলকে শক্তিশালী করতে পারি সেজন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন