নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করার পরও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন না পেছানোর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু সে রিট খারিজ হওয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতে গিয়েও যদি এ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আইনানুগ বিচার না পায়, তখন আমরা ভাবী ভবিষ্যৎটা কোথায়? আমরা যাবো কোথায়?’ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানোর রিট খারিজের পর মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, কেন যেন সবকিছু একই সূত্রে গাঁধা। বাংলাদেশের যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদেরও তো ধর্মীয় অনুভূতি আছে, তাদেরও পূজা-অর্চনা করার অধিকার রয়েছে। আমার মতে, এর মধ্য দিয়ে (রিট খারিজ) এই অধিকারগুলো ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে, খর্ব করা হচ্ছে। এমনকি আমাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আমরা হাইকোর্টে বিষয়টি তুলে ধরেছি।'
রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট তিথির প্রসঙ্গ তুলেছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি তিথিলগ্ন, এ লগ্নতে পূজার সময় আমরা সরস্বতী পূজা করে থাকি। আগামী ৩০ জানুয়ারি পূজার যে লগ্ন রয়েছে সেদিন সূর্যোদয়ের পর থেকে ৯ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সরস্বতী পূজার দিন। আমরা এটা বারবার উপস্থাপন করেছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য, হাইকোর্ট আগামী ২৯ জানুয়ারি কোন কারণে ছুটি দেওয়া হলো এবং কোন কারণে ১ ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজগুলোতে পরীক্ষা হচ্ছে, এ বিষয়টিকে নিয়ে আমাদের রিট আবেদন খারিজ করেছেন।'
তিনি বলেন, ‘কিন্তু পূজার যে ব্যাপকতা এবং পূজার সঙ্গে যে উৎসবের আঙ্গিক- এটাকে বিবেচনায় আনার প্রয়োজন মনে করেননি হাইকোর্ট। যেহেতু হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন আমরা নাগরিক হিসেবে এই আদেশে সংক্ষুব্ধ। তাই এ বিষয়ে আপিল করা হবে। কারণ উচ্চ আদালতে এসেও যদি এ দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আইনানুগ সঠিক বিচার না পায় তখন আমরা ভাবী- ভবিষ্যৎটা কোথায়? আমরা যাবো কোথায়?'
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন