আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মুজিব বর্ষ পালন করব কিন্তু ভোট চাইব না। কারণ আমরা নির্বাচনী আচারণ বিধি নষ্ট করব না।
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন একমত হয়েছেন। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর শত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আমাদের সিদ্ধান্ত আছে এ সময় গ্রামে গঞ্জে, পাড়া মহল্লায়, থানা, জেলা ও বিভাগে মুজিববর্ষ পালন করব। নির্বাচন চলুক আমরা নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘন করবো না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের সাথে একমত হয়েছে, আমরা ঢাকা শহরের প্রত্যেকটা পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ডে ও থানায় মুজিববর্ষ পালন করব। সে কারণে আমরা সব কথা বলতে পারব কিন্তু ভোট চাইব না। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা ভোট চাইতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি কখনো মাথা নত করেননি। তার মতো বিচক্ষণ নেতা বিশ্বে বিরল। তিনি মাত্র ৩ বছর সাত মাসে বাংলাদেশকে স্বাভাবিক করেছিলেন। তার দুটি স্বপ্ন ছিল। প্রথম স্বপ্ন স্বাধীনতা অর্জন করলেন। তারপর দ্বিতীয় স্বপ্ন অর্থনীতি অর্জনের জন্য যখন বিপ্লব শুরু করলেন তখন তাকে হত্যা করা হলো।
এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, স্বাধীনতার পর এই বাংলাদেশে কিছু কুচক্রী ছিল। পাকিস্তান যা পারেনি সেই কুচক্রীরা তাই করেছে। এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশ কলঙ্গমুক্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যতদিন না হবে ততদিন বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না।
তিনি বলেন, যারা এখনো বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনি তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তাদের অধিকার থাকতে পারে না।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অ্যাড. তারানা হালিমের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ড.এনামুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ, অভিনেতা মাসুম আজিজ, চিত্রনায়ক রিয়াজ ও শুভ্রদেব প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন রশিদুল ইসলাম ও পুনম প্রীয়ম।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন