মুক্তিযুদ্ধের নামধারী অতি বিপ্লবীরাই বঙ্গবন্ধু পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
জাসদের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত সিরাজুল আলম খানের সমালোচনা করে সেলিম বলেন, ‘তাদের কাছে আমি জিজ্ঞেসা করতে চাই, তোমাদের সেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র আজকে কোথায়? বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়ার রহমানকে সমর্থন করে ট্যাংকে লাফালাফি করা সেটা কি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র।’
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হল রুমে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮০তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘যেসব ছেলেরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্র ধরে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৬ মাসের ভিতরে সেইসব ছাত্রলীগের কর্মীদের দ্বিধা বিভক্ত করে এদের একটা বিরাট অংশকে মিস গাইড করা হলো। সেটা কি? বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র! সেই সমাজতন্ত্র আজ কোথায়? কেন এটা করা হয়েছিলো? সেই সুযোগে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি এই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আশ্রয়ে আশ্রায়িত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে আঘাত হানে। বঙ্গবন্ধুকে আঘাত হানার ক্ষমতা করো ছিলো না।’
তিনি বলেন, ‘জাসদ তৈরি করে এমন কোনও অপকর্ম নেই, যেটা তারা না করছে। গণবাহিনী গঠন করে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, পাটের গুদামে আগুন, এগুলো কারা করেছে?’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রধান, জিয়াউর রহমান, সফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ কেন বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসলো না। তারা একজনও বঙ্গবন্ধুকে দেখতে আসেনি। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়ার জন্য একজনও এগিয়ে আসেনি। তারা খুনি মোশতাক কর্নেল ফারুক, রশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আনুগত্য প্রকাশ করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে কেউ কখনও রেহাই পায়নি।’
এ সময় যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যুবলীগকে সুসংগঠিত হতে হবে। যুবলীগকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিশ্বাসী হতে হবে। বঙ্গবন্ধু কখনও ভোগের রাজনীতি করেনি, ত্যাগের রাজনীতি করেছে। ত্যাগের রাজনীতি করলে প্রথমে একটু অসুবিধা হলেও আল্টিমেটলি তিনি সফল হবেনই, কেউ তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। খালি স্লোগন দিয়ে হবে না, আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে ত্যাগের রাজনীতি করতে হবে। আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে সত্যকে লালন করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।’
আলোচনার শুরুতে শেখ ফলুল হক মনির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগপ্লুত হয়ে পরেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন