স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’ বলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার সমালোচনা করেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে রাঙ্গার সমালোচনা করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘একটা কথা আছে, বান্দরকে লাই দিলে গাছের মাথায় ওঠে। এই লাই আমরা দেইনি। এই সংসদ তাকে লাই দিয়েছে। কী ধরনের ব্যক্তিত্ব, যার অতীত নেই-বর্তমান নেই। কিছুই ছিল না। হঠাৎ তাকে মন্ত্রী বানানো হলো। আমরা তো তাজ্জব হয়ে গেলাম।’
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘তিনি বিরোধী দলের চিফ হুইপ। আমি বললাম, তাজুল ইসলাম চৌধুরী (সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ) মারা গেছেন, আমি বক্তব্য রাখব। তিনি বললেন, আপনারটা আপনি দেখবেন, আমি কেন নাম পাঠাব? আমার সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বললেন। আমি যতদিন ধরে রাজনীতি করি, তার বয়সও ততদিন হবে না। তিনি কোথায় আন্দোলন করেছেন? কোথায় সংগ্রাম করেছেন? তিনি যুব দলের নেতা ছিলেন।’
রাঙ্গা প্রসঙ্গে ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তিনি কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কথা বলার ধৃষ্টতা তিনি কোথায় পেলেন? প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কথা বলেছেন। গণতন্ত্রের ছবক দেন। লেখাপড়া জানেন না, আবার কাগজের মালা গলায় দিয়ে পরিবহন শ্রমিক হয়ে হঠাৎ বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়ে গেছেন। ধৃষ্টতা দেখান তিনি। আর তার জবাব দিতে হয় আমাদের। আসামিদের কাঠগড়ায় আমাদের দাঁড়াতে হয়। এটা সম্পূর্ণ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে। আমরা দুঃখিত।’
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে পুলিশের গুলিতে শহীদ নূর হোসেনকে ‘ইয়াবাখোর’ ও ‘ফেনসিডিলখোর’ বলেছিলেন জাপার মহাসচিব। গত রোববার গণতন্ত্র দিবসের এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করার পর রাঙ্গার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর গতকাল বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনা সভায় ক্ষমা চান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন