বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যে সমস্ত কারণে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, আওয়ামী লীগ তার সব কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু সবকিছু ফেরত দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, বাকস্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন, আইনের শাসন ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশকে একটা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন জীবন দিয়েছেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করার দরকার নাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে মূলধন করে যে রাজনীতি চলছে সেটা কষ্টের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ মূলধনের বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধকে অব্যাহতভাবে ব্যবহার করা কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ রচনা করেছেন তারা ইতিহাসবিদ নয়। তারা রাজনীতিবিদ। সারাবিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করে ইতিহাসবিদরা। কিন্তু বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করছেন রাজনীতিবিদরা। রাজনীতিবিদ যখন ইতিহাসবিদ হয়ে যায় তখন সেটা ইতিহাস থাকে না।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, আজকের যারা প্রজন্ম, তাদের দায়িত্ব সঠিক ইতিহাস আগামী দিনে প্রণীত করা। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এই নেতৃত্বে যোগদান করবেন আপনারা। আপনারা আগামী দিনের কার্যক্রম ঠিক করুন। নেত্রীকে কীভাবে মুক্ত করবেন সেটার সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। তাহলেই, বাংলাদেশ যে কারণে স্বাধীন হয়েছে এবং ৭ নভেম্বরের যে চেতনা সেটার কি সঠিক রূপ দিতে পারব।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পরে মনে হচ্ছে এখন নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা যে সকল জায়গায় ব্যর্থ হয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান সেই সকল জায়গায় সফল হয়েছেন। আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত নতুন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করছে। অন্যদিকে প্রতিহিংসার কারণে আজ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। বেগম খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন