ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘বিগত নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত (এমপি) হয়েছি। তারপরও আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি- বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোথাও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’
শনিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মেনন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন, আজকে কেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে আসে না?
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন ছাড়াও প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় নেতা কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক।
বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাবেক এমপি টিপু সুলতান, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শান্তি দাস, জেলার সম্পদকমন্ডলীর সদস্য বিশ্বজিৎ বাজৈ, ফাইজুল হক বালী ফারাইন, জেলা গনফোরাম সভাপতি হিরন কুমার দাস মিটু, সিপিবি’র প্রবীন নেতা আব্দুল মন্নান, বাবুগঞ্জ উপজেলা ওয়ার্কার্সা পার্টির সম্পাদক শাহিন হোসেন ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মিন্টু দে প্রমুখ।
সম্মেলনে ১৪ দলের অন্যতম শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতা মেনন আরও বলেন, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়, উন্নয়ন মানে ভিন্ন মতের সংকোচন নয়, উন্নয়ন মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের স্পেস (সুযোগ) কমিয়ে দেয়া নয়। সারা দেশে মানবিক মূল্যবোধের চরম বিপর্যয় ঘটেছে।
মেনন বলেন, ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গা নির্বিঘ্ন আছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাঁজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে ছাত্ররাজনীতি কলুসিত করছে অভিযোগ করে মেনন বলেন, দেশে প্রচুর উন্নয়নের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে রোল মডেল। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মেনন আরও বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) চারপাশে দুর্নীতির ঘুনোপোকারা, তার চারপাশে সম্পদ লুটেরারা, তার চারপাশে অর্থ আত্মসাতকারীরা। তারা ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সম্পদ গড়ে তোলে। মাত্র ২ ভাগ লোকের হাতে দেশের ৩৩ ভাগ সম্পদ চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন মেনন। এদিকে দুপরের পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
Casino Man is scared. So he is making a defensive statement. "Better late than never". So election did not happen. Interesting!
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন