বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০১৬ সালে। নিয়মানুযায়ী এ বছর বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবার কথা। কিন্তু কাউন্সিলের বিষয়ে এখন পর্যন্ত দলের সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তবে বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে নতুন করে ১৯টিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য করা এ আহ্বায়ক কমিটির ১২টির মেয়াদও পার হয়েছে। একই অবস্থা অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনেরও। জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল ও তাঁতি দলের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে। এই অবস্থায় পুনর্গঠন কাজ কাঙ্খিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে বিএনপি নেতারাই সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমাদেরসময়
বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে। দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় চলতি বছর কাউন্সিল করা সম্ভব হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা গেলে আগামী বছরে ছোট পরিসরে হলেও খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে কাউন্সিল হতে পারে বলে বিএনপি নেতারা আভাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠনের কাজ চলছে। এরই মধ্যে ভোটের মাধ্যমে সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সর্বত্র ভোটের মাধ্যমে সব কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কাউন্সিল বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, ভিত্তিহীন মামলায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। সরকারের বাধায় তিনি দেশে আসতে পারছেন না। নেত্রীকে মুক্ত করেই বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে কাউন্সিল করতে চাই।
দল প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরের মধ্যে প্রায় ৩৬ বছর ধরে বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে। তার অনুপস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাল ধরেন। এর মধ্যে ৮২টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির মধ্যে ১৯টির আহ্বায়ক কমিটি এবং ৯টির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন