আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে কেমন নেতৃত্ব আসবে, তা নিয়ে এমন ধন্দে আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় বেশির ভাগ নেতাই। এর পরও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপের কমতি নেই। তাঁরা প্রতিদিনই দলীয় কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাসা ও ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। কর্মীরা পছন্দের নেতার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জটলা পাকিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। পাশেই দেখা মিলল যুবলীগের দুজন সম্পাদকের। কুশল বিনিময়ের পরই এক সম্পাদকের প্রশ্ন, ‘ভাই, আপনাদের কাছে তো অনেক খবর থাকে। বলেন তো, কারা নেতৃত্বে আসছেন? এবার কি বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে?’
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ ১০-১২ জন নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বেশির ভাগই আগামী কমিটি থেকে বাদ পড়বেন। নানা অপকর্মের দায়ে সমালোচিত সংগঠনটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম, মেধাবী, দক্ষ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতাদের নিয়ে যুবলীগের আগামী কমিটি গঠন করা হবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যারা যুবলীগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সক্ষম—এমন যোগ্য নেতাদেরই নেতৃত্বে আনা হবে। এবার তরুণ নেতারা গুরুত্ব পাবে।’
যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যারা যুবলীগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সক্ষম, তাদেরই নেতৃত্বে আসা উচিত। তাদের নেতৃত্বে আসতেই হবে।’
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসছে, এটা নিশ্চিত। প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ নেতা। প্রত্যেকেরই গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক অতীত রয়েছে। ফলে যাঁরা আগামীতে নেতৃত্বে আসবেন তাঁরা নবীন ও প্রবীণের ভারসাম্যের দিকে খেয়াল রাখবেন, এমনটাই আশা করি। নবীনের উদ্যম আর প্রবীণের অভিজ্ঞতা মিলিয়েই সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হয়।’
সূত্রগুলো জানায়, যুবলীগকে ঢেলে সাজানো এবং তরুণদের নেতৃত্বে আনার সিদ্ধান্ত হলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী পান্না, বাহাদুর ব্যাপারী, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের মধ্য থেকে যে কেউ যুবলীগের মূল নেতৃত্বে আসতে পারেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন