চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে বসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে বলেন দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী সংগঠন।
এই নুরুর পাগলামির জবাব আমরা দিব। নুরু ভিপি মিডিয়াকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আমরা বলি আপনি ঢাবিতে আছেন, ঢাবিতে থাকেন। চবি ছাত্রলীগ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার স্মরণে শোক র্যালিতে শেষে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আবরার আমাদের ভাই। আমাদের শরীরে যে রক্ত আছে তা আবরারের শরীরেও প্রবাহিত হচ্ছে। যারা তাকে হত্যা করেছে তারা কোন দেশের নয়, দলের নয়, গোষ্ঠীর নয়। তারা শুধুমাত্রই খুনি।
সভপতি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুনিদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিন থেকে অলিগলির ছাত্রলীগ সবাই চায় দ্রুত যেন আবরার হত্যার হয়। যে দেশ শেখ হাসিনার সেখানে কোন অন্যায় কর্মকাণ্ড চলতে পারে না।
যেকোন অপকর্মের বিচার বাংলাদেশে হচ্ছে৷ তবে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করে।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত অমানবিক ও ঘৃণিত। যারা নৃশংশ কর্ম ঘটিয়েছে আমরা তাদের শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কোন ব্যক্তি যদি কোন অপরাধে জড়িত থাকে তার দায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না। প্রগতিশীল সকল সংগঠন যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তার সাথে একাত্মতা পোষণ করছি৷
ইকবাল টিপু বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠী এ ঘটনায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছে। যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিলার করতে চাইলে চবি ছাত্রলীগ কঠোর হস্তে দমন করবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় জিরো পয়েন্ট থেকে এক শোক র্যালির আয়োজন করে চবি ছাত্রলীগ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে সবাই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে আবরারের মাগফেরাত কামানায় মোনাজাত করা হয়।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন