ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে স্ট্যাটাস দেয়ায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ওই হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই নাম উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহার। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তার নাম নেই। নাম নেই ছাত্রলীগের বহিষ্কার হওয়া তালিকাতেও।
গত ৫ অক্টোবর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। যেখানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে একরকম ভিন্নমত পোষণ করেন আবরার। সেই স্ট্যাটাস ইশতিয়াক মুন্নার নজরে আসে।
শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই স্ট্যাটাসে জন্য ইশতিয়াক মুন্না একই হলের শিক্ষার্থী বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ দফতর সম্পাদক মোস্তফা রাফি, উপ সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম জিয়ন ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকারকে বিষয়টি জানিয়ে আবরারকে ডেকে আনার নির্দেশ দেন।
এরা সবাই ১৬ ও ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুজন রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবরারকে ডেকে ২০১১ নং কক্ষে নিয়ে যান। ২০১১ নং কক্ষটিতে অমিত সাহা নিজেই থাকেন। আবরার ফাহাদকে যখন পেটানো হয় তাতে অংশ নেন অমিত সাহাও।
সন্তান হত্যার ঘটনায় চকবাজার থানায় সোমবার (৭ অক্টোবর) মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। এতে আসামি করা হয় ১৯ জনকে। এই মামলায় নাম নেই অমিত সাহার।
এছাড়াও আবারার ফাহাদকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তাতেও নাম নেই অমিত সাহার।
হত্যার শুরু থেকেও নাম উঠে আসে অমিত সাহার। সোমবার সকালেই যাদের আটক করা হয় তাদের মধ্যে কিছু মিডিয়া আটক হিসেবে অমিতের নামও প্রকাশ করে। কিছু গণমাধ্যম আবারও পলাতক হিসাবেও উল্লেখ্য করেছে। কিন্তু পুলিশ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন