‘মিয়ারমারের ইচ্ছা পুরণে সরকার কাজ করছে বলেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে দুই বছর হলো। কিন্তু এখনও একজন রোহিঙ্গাকে সেখানে পাঠাতে পারেনি সরকার। তারা মিয়ানমারের কাছে সম্পূর্ণ নতি স্বীকার করেছে।’
দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রোহিঙ্গার বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের কাছে নতি স্বীকার করেছে, তারা (মিয়ানমার) যে ফর্মূলা দিয়েছে সেই ফর্মূলার কাছে তারা নতি স্বীকার করছে। সর্বশেষ যে, সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলো তার সমাধান হয়নি অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, তাদের নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া, তাদের সম্পত্তির মালিক হওয়া-এই বিষয়েগুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা চলে যায়নি। এসব ক্ষেত্রে কোনো কাজ না করে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মিয়ানমারের যে ফর্মূলা, তাদের যে ইচ্ছা সেটাকে পুরণ করবার জন্য সরকার কাজ করছে বলে আমরা মনে করি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমরা শুরুতেই বলেছি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য। কিন্তু এই সরকার এতে কোন সাড়া দেয়নি। দুই বছর পরে এসে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। মূলত এই সরকার মিয়ানমারের কথা মতো কাজ করছে এবং তাদের ফর্মুলা বাস্তবায়ন করছে। মোটকথা মিয়ানমারের ইচ্ছাগুলো এই সরকার বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং কিছু পত্রিকা তারেক রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলছে এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এখনো বলছি ২১ আগস্টের ঘটনা দেশের জন্য একটি নিকৃষ্ট ঘটনা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
ফখরুল বলেন, ‘সম্প্রতি সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন ২১ আগস্টের ঘটনার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়নি। ওনার একথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই সময় এই ঘটনা নিয়ে কাজ করার জন্য দুটি বিদেশি সংস্থা আসলে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন আগ্রহ দেখানো হয়নি।’
আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে র্যালি করার কথা থাকলেও এটা হবে পরের দিন। আর ২ সেপ্টেম্বরের আলোচনা হবে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন বিকেল ৩টায়। এছাড়া খালেদা জিয়া সুস্থতা এবং তার জামিনের বিষয়েও আলোচনা হয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
দুই ঘন্টার এই বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন