‘ঠকছে এতিম-গরীব-মিসকিন, জিতছে সিন্ডিকেট’
কাঁচা চামড়া রপ্তানির ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে যখন দেশের মানুষ চামড়া মাটিতে পুঁতে দিল ঠিক তখনই পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া রপ্তানির ঘোষণা দেয়া হল।
বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চামড়াশিল্প ধ্বংস করে পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি করতে হচ্ছে। ঠকছে কৃষক, ঠকছে এতিম-গরীব-মিসকিন। জিতছে লুটেরা, জিতছে সিন্ডিকেট আর তাদের সতির্থরা। ক্ষতি হবে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেক লোক। বেকার হয়ে পড়বে এর সঙ্গে জড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল রাতের অন্ধকারে কাঁচা চামড়া রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো সরকার। গরীব, মিসকিন, এতিমদের হক মারার পর কার স্বার্থোদ্ধারে, কেন এই তড়িঘড়ি করে এই রপ্তানির ঘোষণা দেয়া হলো তা দেশের মানুষ জানতে চায়।
তিনি বলেন, একদিকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কম টাকায় চামড়া কিনে এতিম মিসকিনদের পেটে ভয়াবহ নিষ্ঠুরতায় লাথি মারা হলো। অন্যদিকে এখন আবার কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্পকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। সবই ছিলো পুর্ব পরিকল্পিত এবং সিন্ডিকেটের লুটপাটের জন্য মহাকারসাজি। এই চামড়াই আবার দেখা যাবে অন্য দেশ থেকে আমদানী করা হবে চড়াদাম। কাঁচা চামড়া রপ্তানি হলে শতভাগ দেশীয় শিল্প অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এবং এই শিল্পে হাজার হাজার কোঢি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির সম্মখিন হবে।
দানের চামড়াগুলো দিয়েই মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো চলে উল্লেখ্য করে রিজভী বলেন, ‘তারা এবার বিপাকে পড়েছে। ধানের ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকরা যখন ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো, ঠিক তখনই বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ট্রাক বোঝাই চালের দৃশ্য দেখতে হয়েছিলো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন