কর্নেল তাহের ছিলেন মহান দেশপ্রেমিক বিপ্লবী বীর আর জিয়া বিশ্বাসঘাতক-খলনায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, সুশাসনের জন্য একটি সামাজিক ও রাজনৈতিক চুক্তি অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল তাহেরের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ)আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন তিনি।
কর্নেল তাহেরকে অভিবাদন জানিয়ে মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বাভাবিকভাবেই একটি অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়, সমতাভিত্তিক সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি রাষ্ট্র গঠিত হবে। মুক্তিযুদ্ধের তরুণ যোদ্ধারা পুঁজিবাদের প্রতি প্রতিবাদমুখর হয়ে গঠন করেছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।
সভায় জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেন, কর্নেল তাহের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ‘সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের’ মধ্য দিয়ে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে কর্নেল তাহেরসহ শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকল দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও শক্তিকে কাজ করতে হবে। সুশাসনের জন্য সমগ্র জাতিকে চুক্তিতে আসতেই হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান এমপি বলেন, হাইকোর্টের রায়ে কর্নেল আবু তাহের একজন মহান দেশপ্রেমিক হিসাবে সম্মানের স্থান পেয়েছেন এবং জিয়াউর রহমান একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমান বাহিনীর অফিসার-সৈনিক হত্যাসহ জিয়ার আমলে সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরে সকল অফিসার-সৈনিক খুন-গুমের ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
দলের সহ সভাপতি মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মা-লে) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কর্নেল তাহেরের অনুজ প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাসদের সহ সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রোকন, নারী বিষয়ক সম্পাদক উম্মে হাসান ঝলমল, নেত্রকোনার সাবেক সংসদ সদস্য মোতালেব খান পাঠান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মাইনুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগর(জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমুখ।আস
পাঠক মন্তব্য
Also Col.Taher proposed to through Bangabondhu’s dead body into Bay of Bengal.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন