মোট ৩৬টি মামলার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৪ মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা দুটিতেও জামিন পেয়েছন তিনি। আর মাত্র দুটি মামলায় জামিনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। তার আইনজীবীরা বলছেন, সরকার ‘হস্তক্ষেপ’ না করলে তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসবেন। ডয়চে ভেলে
যে দুই মামলায় খালেদা জিয়া জামিনের অপেক্ষায় আছেন তা হল, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
গত ১৬ মাস ধরে কারাগারে আটক আছেন বিএনপি প্রধান। অসুস্থতার কারণে, ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি৷
খালেদ জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে এবং সরকার কোনো হস্তক্ষেপ না করলে, আইন বহির্ভূত কোনো কাজ না করে আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়া জামিনে বের হয়ে আসতে পারবেন।
সরকার আগেও খালেদা জিয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে জানান এই আইনজীবী৷তিনি বলেন, আগামী রোববার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবার জামিনের জন্য মেনশন করবো। আবেদন আগেই করা আছে। দুই মাস সময় নেয়া হয়েছিল শুনানির জন্য। সময় এরমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এটা শেষ হবে। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের বিষয়টিও এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি হয়ে যাবে আশা করি।
হাইকোর্ট ডিভিশনে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটির শুনানি ৩০ জুনের পরে হওয়ার কথা। আদালত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে নথি তলব করেছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে নথি না আসলেও জামিন শুনানির কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি আছে আপিল বিভাগে। ওই মামলায় সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ বছর থেকে ১০ বছর করায় আবার জামিন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সাজা বাড়ানোর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামিনেরও আবেদন আছে। আইনগতভাবে এই দুইটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমু বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালত শাস্তি দিয়েছে। তিনি আইনগতভাবে মুক্তি পেলে আমাদের কিছু করার নেই। তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি জানে, খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন৷ জামিনে মুক্তিও পেলেও তিনি অপরাধী।’
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলার মধ্যে ২১টি আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে। ১৩টি মামলা বিচারাধীন। আর দুইটি মামলায় তার দণ্ড হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন