কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা তুলে দেয়াসহ বেশ কিছু দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। যাদের বেশিরভাগই বয়সের বাধার কারণে সামনের কমিটিতে জায়গা পাবেন না।
কর্মসূচি শুরুর পর কেন্দ্রীয় নেতাদের আশ্বাসে বিরতি দিলেও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আবার মাঠে নামছেন আন্দোলনকারীরা। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শনিবারের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে রবিবার থেকে অনশন, কালো পতাকা প্রদর্শনসহ বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার সকালেও দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধরা। সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের নেতা বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে। এজন্য আগামী শনিবার পর্যন্ত আমরা আলটিমেটাম দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী রবিবার থেকে আমরা যেকোনো ধরনের কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। আর এজন্য দলের দালাল সিন্ডিকেট দায়ী থাকবে।’
গত ৩ জুন ছাত্রদলের রাজীব আহসান ও আকরামুল হাসানের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কাউন্সিলে প্রার্থী হতে গেলে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী যেকোনো বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াসহ তিনটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তে সংগঠনের একটি অংশ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
বয়সসীমা বাতিল করে ধারাবাহিক কমিটি গঠনের জোর দাবি তুলে গত ১১ জুন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিদ্যুৎ ও গ্যাস বন্ধ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে ভেতরে রেখে ফটকে তালা ঝুঁলিয়ে দিনভর বিক্ষোভ করে। তাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও আনা হয় নয়াপল্টনে।
ওই ঘটনায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদ্রোহীদের ওপর চরম ক্ষুব্ধ হন বলে বিএনপির নেতাদের সূত্রে জানা যায়। ওই দিনই ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সমন্বয়ে গঠিত ১২ সদস্যের সার্চ কমিটি বিদ্রোহী এসব নেতাকর্মীকে আশ্বাস দিলে তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। কিন্তু কোনো সমাধান না পাওয়ায় কার্যালয়ে তালা না দিয়ে গত ১৬ জুন ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৭ জুনও দুই ঘণ্টা অবস্থান নেওয়ার পর সার্চ কমিটির অন্যতম নেতা বিএনপির যুগ্মমহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের আশ্বাসের ভিত্তিতে দুই দিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। তাতেও সমাধান না পাওয়ায় বুধবার থেকে আবার অবস্থান নেন ছাত্রদলের ওই নেতারা। স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
কী ধরনের কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কর্মসূচির ব্যাপারে আমরা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কালো পতাকা প্রদর্শন, গণ-অনশনসহ যেকোনো ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। কর্মসূচি যাই হোক তা হবে শান্তিপূর্ণ।’
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন