প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন দাবি করে ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেছেন, আমি হাওয়া ভবনের মালিক ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আলি আসগর লবির পরিবারের প্রতিহিংসার শিকার। আমার ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশিরের বউ ইশিতা নাসরিন খান হাওয়া ভবনের মালিক আলি আসগর লবির ভাতিজি।
তিনি বলেন, আমি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যোগদানের পর থেকেই হাওয়া ভবনের মালিক তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আলি আসগর লবির ভাতিজি ইশিতা নাসরিন খান এবং আলি আসগর লবির ভাই সেকেন্দার হায়াত খান আমাকে বিভিন্নভাবে কাজে যোগদান না করার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। পরবর্তীতে আমি রাজি না হলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
তুরিন আফরোজ বলেন, সে সময় আমার পিতা জীবিত থাকায় তারা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। পরবর্তীতে আমার পিতার মৃত্যুর কয়েকদিনের মাঝে শিশির তার শ্বশুর বাড়ির প্রলোভনে আমাকে আমার উত্তরাস্থ বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি ধমকি ও চাপ প্রদান করতে থাকে। আমি এমতাবস্থায় আইনের আশ্রয় নেই।
তিনি আরও বলেন, শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির আমাকে ও আমার মাকে বিবাদী করে দেওয়ানি ১৬১/২০১৮ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করে এবং আমিও একই সম্পত্তির বিষয়ে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ ৫ম আদালতে ১৬২/২০১৮ নম্বর মোকাদ্দমা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত উভয় মোকদ্দমার শুনানি করে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার বাসস্থানভুক্ত সম্পত্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। মূলত বর্ণিত সম্পত্তিতে আমার ভাই যেন আমার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেই মর্মে আদালত আদেশ প্রদান করেন।
তুরিন আফরোজ বলেন, আদালতের আদেশ অমান্য করে শুক্রবার সকাল ৮টার সময় শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির তার শ্বশুরবাড়ির প্ররোচনায় জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং আমাকে ও আমার মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি আমার নিরাপত্তার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করি।
তিনি দাবি করেন, শিশির আমাকে আমার বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করাতে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে হাওয়া ভবনের মালিকের পালিত সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে।
তুরিন আফরোজ বলেন, আমি প্রশাসন, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসীসহ সকলকে হাওয়া ভবনের মালিক ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আলি আসগর লবির পরিবারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন