জারিন দিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ায় পর ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য সাবেক সদস্য জারিন দিয়া। এরপর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। সোমবার (২০ মে) রাতে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সোমবার (২০ মে) মধ্যরাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের গত কমিটির সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বহিষ্কারের ক্ষোভ থেকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দিয়া। তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ওয়াশ করা হয়েছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো।’
আরও জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় জারিন দিয়াকে। এর তিন ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর প্রতি কিছু প্রশ্ন রেখে ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়ার এবং তারপরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লিখেছেন, ‘ আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে।’
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মারামারির ঘটনায় সংগঠনটির একজনকে স্থায়ী ও চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দুজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ পাঠানো হয়। সোমবার (২০ মে) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জিয়া হল ছাত্রলীগকর্মী সালমান সাদিককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার চারজন হলেন বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মুরসালিন অনু, জিয়া হল ছাত্রলীগের সদস্য কাজী সিয়াম, কর্মী সাজ্জাদুল কবির এবং ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সদস্য জারিন দিয়া।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন