বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিহ্বায় কামড় লেগে ঘা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
খালেদা জিয়ার মুখে ঘা হয়েছে, তাকে জাউ খেতে হচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এমনটা জানান তথ্যমন্ত্রী।
সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জিহ্বায় কামড় লেগে ঘা হয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কথা বলে জেনেছি, তারাও একই কথা বলেছে। অসতর্ক অবস্থায় যে কারও জিহ্বায় কামড় লাগতে পারে। এটা কোনো রোগ নয়।’
বিএনপি ‘দৈন্যদশায়’ পৌঁছে গেছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও করেনি। তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও মাঠে তৎপর ছিল না। তাদের কোনো প্রচার ছিল না, অনেকে কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়নি। আর মনোনয়ন বাণিজ্য তো হয়েছেই।
‘এক আসনে একাধিক প্রার্থী ছিল। মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে লেজেগোবরে হয়ে গেছে তাদের নির্বাচন। লন্ডন থেকে সেই মনোনয়ন বাণিজ্যের সূত্রপাত। ঢাকায়ও বাণিজ্য হয়েছে। সোজা কথা, বিএনপি দৈন্যদশায় পৌঁছে গেছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, পলাতক আসামি। দেশের বাইরে থেকে দলের নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়। ফলে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিএনপি দৈন্যদশায় আছে। ধার করা নেতৃত্ব দিয়ে চলছে বিএনপি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে শাস্তি পেয়েছেন। তার বিচারের জন্য সরকার তো কোনো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেনি। ওই মামলাও সরকার দেয়নি বরং তারা যতবার আদালত থেকে সময় নিয়েছে সেটা নজিরবিহীন।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে তথ্য আসার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন