এবার পদ হারাতে যাচ্ছেন বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেত্রী আফরিন লাবণী। পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছেন অভিযুক্ত করে ১৭ জনের নাম প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ওই তালিকায় নাম রয়েছে সেই বিতর্কিত উইশকন্যা আফরিন লাবণীর। বিয়ে নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা না দিতে পারলে পদ হারাতে পারেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী।
তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন লাবণী। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে লাবণীকে একাধিক বিবাহিত উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বিতর্কিতদের তালিকায় রাখা হয়েছে লাবণীকে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, জামালপুর সদর বাগেরহাটা কলেজ রোডের বাসিন্দা লাবণী। ব্যবসার পাশাপাশি কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়েছেন তিনি। জামালপুর কোর্টে গিয়ে ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন তারা। দুই বছর সংসার করার পর ২০১৬ সালের ১৭ মে ডিভোর্স হয় তাদের। এমনই তথ্য পাওয়া যায়।
তবে বিয়ের কথা অস্বীকার করে লাবণী দাবি করেছেন, আতাউর রহমান আতিকের সঙ্গে তার বিয়ে বা বিচ্ছেদ কোনোটাই হয়নি। দুই বছর সংসার করা তো দূরের কথা, কখনও জামালপুর যাওয়াও হয়নি তার। তবে আতাউর তার পরিচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোচিং করতে যখন ঢাকায় আসেন তখন ইডেন কলেজের হোস্টেলে থাকতেন। সেখানে তার রুমমেট ছিলেন সোমা নামে এক মেয়ে। আতিক ছিলেন সোমার পরিচিত। সেই সূত্রে আতিকের সঙ্গে তার পরিচয়।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন লাবণী। তিনি জবি থেকে বিবিএ (স্নাতক) সম্পন্ন করে বর্তমানে এমবিএতে অধ্যয়নরত। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘তিনটি উইশ’ নিয়ে বিচারক ইমির প্রশ্নের হাস্যকর উত্তর দিয়েছিলেন লাবণী। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক ট্রল হয়। তাকে উপাধি দেয়া হয় উইশ কন্যা হিসেবে।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন