বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আমরা যারা এখানে বসে আছি, তারা সবাই বলছি- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কি করা দরকার।এ নিয়ে বহু আলোচনা করছি। কিন্তু আসলে কিছুই করছি না। কি করা দরকার, এ বিষয়ে কারও বুদ্ধির অভাব নেই। তবে সেই বুদ্ধির কাজটা করার মতো কোনো উদ্যোগ নাই!’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার তিনি এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল।
ভাসানীকে স্মরণ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর সময় যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সব সময় তিনি অংশগ্রহণ করতেন। মওলানা ভাসানী জনগণের জন্য কথা বলতেন, জনগণের জন্য কাজ করতেন।’
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আনন্দ করছে বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) এখন আনন্দ করছে। আনন্দ করুক। বিএনপি ও আনন্দ করবে যেদিন সকল মানুষ নিয়ে রাস্তায় নেমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখানে একজন বলেছেন, আত্মাহুতি দেওয়া দরকার। আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য কারও অনুমতি লাগে না কি? বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আপনার মরার দরকার নেই, সাহস করে রাস্তায় আসেন।’
সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন বলে গলা ফাটাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে অসম উন্নয়ন হচ্ছে। যারা ধনী তারা আরও ধনী হচ্ছেন। এদেশে বর্তমানে ধনীরা যে হারে আরও ধনী হচ্ছেন সে হারে চীন ও আমেরিকার ধনীরাও ধনী হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দেশের কৃষকরা বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। শুধু কৃষকরা নয়,দেশের আপামর জনগণ খুব খারাপ অবস্থায় আছে। কৃষকরা ধানের দাম পায়নি বলে ক্ষেতে আগুন দিয়েছে। দেশে এই অবস্থা কেন?’ একেবারে ডাকাতি করে জোর করে এই সরকার ক্ষমতায় আছে বলে মন্তব্য করেন দুদু।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আগের দিনের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘পয়সা হলে যদি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, আইন-আদালত সবকিছু কিনে ফেলা যায় তবে আপনারা সরকারে আছেন কেন? ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনার (নাসিম) বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়- বর্তমানে দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা কতটা নাজুক। ঢাকাইয়া ভাষায় বলতে হয়- গণতন্ত্র পড়েছে মাইনকা চিপায়। এই মাইনকা চিপা হতে আমরা কেউ বেরোতে পারছি না। বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা যখন যা খুশি বলছেন। উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষকে বিনোদন দিচ্ছেন।’
শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নজমুল হক নান্নু, কৃষকদলের যুগ্মআহ্বায়ক তকদির হোসেন জসিম, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, জামাল উদ্দীন খান মিলন, সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন