আওয়ামী লীগ একনাগাড়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। ফলে অন্যদল থেকে অনেকেই মতলববাজি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তাদের অনেকের দুষ্কর্মের জন্য খোদ আওয়ামী লীগের বদনাম হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়েও উদ্বেগ বেড়েছে।
মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের ঘটনায় আওয়ামীলীগের মাকসুদ আলমকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এতে আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে পড়েছে।
ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগ অন্য দল থেকে তাদের দলে যোগদানকারীদের একটি তালিকা করতে যাচ্ছে। যদিও মাকসুদ আলমকে আওয়ামী লীগ অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করছে।
জিনাত ফারজানা চৌধুরী নামের এক আওয়ামী লীগ নেত্রী বিবিসিকে বলেন, দলের নবাগতদের অনেকেই হাইব্রীড নেতা। হাইব্রীড শব্দটির অর্থবহ হয়েছে এদের কারণে। আর এদের কারণেই দলের ত্যাগী নেতারা উপেক্ষিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে ঢোকার কারণ হচ্ছে দলের বদনাম করা এবং দুষ্কর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা।
উল্লেখ্য, দলের বিভিন্ন পর্যায়ে হাইব্রীড নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। রাজশাহীর আরেক নেত্রী পূর্নিমা বিবিসিকে বলেছেন, জন্ম থেকে দলে আছি। হাইব্রীডদের অবাধ বিচরণ ও মাতববরির কারণেই দল বিপর্যয়কর অবস্থার মুখোমুিখ হচ্ছে।
হাইব্রীড নেতাদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, অন্যদল থেকে আগতদের ব্যাপারে আমাদের সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রথমত যুদ্ধাপরাধীদের আমরা কোনমতেই দলে নেব না। আমরা বহিরাগতদের নিয়ে ইতোমধ্যেই একটি তালিকা করেছি। তাদের নাম আমরা সংগ্রহ করেছি। যাাচাই বাছাইও করা হয়েছে। এদের ব্যাপােের কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে গ্রীন সিগন্যাল রয়েছে। হাইব্রীডদের যারা সুযোগ দিয়েছে সেই সব নেতাদেরও আমরা চিহ্নিত করবো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন