কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না, মুক্তিই তার একমাত্র চিকিৎসা বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিচার বিভাগের বিবেকহীনতা ও দলীয়করণই তার মুক্তির প্রধান অন্তরায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার ‘আদর্শ নাগরিক আন্দোলন’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা হলো তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া, পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে দেয়া। এটি হলো তার মূল চিকিৎসা। সেটা না করে যদি মাথাব্যথার জন্য পা টিপে দেয়া হয়, তাহলে কি মাথাব্যথা কমবে?’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় চিকিৎসা হবে একাকিত্ব দূর করা। এ জন্য কোনো চিকিৎসককে যুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া উনার যে মানবাধিকার, নৈতিক অধিকার আছে, তাকে আর কিছু না হোক জামিনে মুক্তি দেয়া হোক। গণতন্ত্র না থাকলে বিচার বিভাগের অবনতি হবে। বিচার বিভাগের বিবেকহীনতা বলেই এ জাতীয় ঘটনা ঘটছে। বিচারকদের মনে রাখতে হবে, কখনও না কখনও আপনাদেরও জনতার আদালতে দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যেভাবে চালাচ্ছেন পৃথিবীর কোনো জায়গায় কিছুদিন থাকা যায়, আমরা কোনো মর্মান্তিক পরিণতি চাই না। আমরা চাই বাংলাদেশ সুখের সমৃদ্ধির হোক। আমরা চাই আপনার ভালো কাজের জন্য আপনাকে দেশবাসী স্মরণ করুক। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিন, খালেদা জিয়ার অন্ততপক্ষে জামিনের ব্যবস্থা করুন। বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের অধীনস্থ করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার জন্য মঙ্গল হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। তার প্রথম শর্ত সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিন। দ্বিতীয়ত অবিলম্বে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তাতে হারলেও আপনার জয় হবে। তখন আপনি বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন। এখন পিতাকে বিক্রি করে কতদিন চলবেন?’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না, আবু নাসের মো রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
শীর্ষকাগজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন