বরিশালে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে চলছিল জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড। নেতাদেরও জনসমক্ষে দেখা যেত না। অনেকটা আত্মগোপনে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিলেন নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটির নেতাকর্মীরা।
তবে দীর্ঘদিন পর বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীতে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল মহানগর জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বরিশাল মহানগর সভাপতি মো. আবু জাফরসহ নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিছিলপরবর্তী সমাবেশে বক্তরা বলেন, দুনিয়াজুড়ে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা মুসলমানদের ওপর হামলা ও সন্ত্রাস করছে। তারা নির্বিচারে আমার ভাইদের হত্যা করছে আর বিশ্ববিবেক শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে।
তারা বলেন, জাতিসংঘ নামের অকার্যকর প্রতিষ্ঠানটি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের রক্ষাকবচে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে যারা মানবাধিকারের কথা বলে চিৎকার দিচ্ছে, তারা সুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ হলে চুপ থাকে। মুসলমানদের প্রতিক্রিয়শীল আর জঙ্গি উপাধি দিয়ে বিধর্মীরা মুসলমানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। আর বিশ্ব মুসলিম নেতৃত্ব পশ্চিমাদের পা-চাটা গোলামে পরিনত হয়েছে। যার কারণে আজ বিধর্মীরা মুসলমোনদের ওপর এরকম ন্যাক্কার জনক ও বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাতে সাহস পাচ্ছে।
এ সময় বক্তারা জাতিসংঘকে এই হামলার দায় নিয়ে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হামলার ঘটনায় ওআইসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনসহ এর পুনর্গঠন করে যোগ্য নেতৃত্ব বসনোর দাবি জানান।
পরে নিউজিল্যান্ডের নুর মসজিদে শাহাদাতবরণকারী মুসলিম ভাইবোনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তারা বিশেষ করে বাংলাদেশের শহীদদের পরিবারের প্রতি সমবেদানা জানান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন