বর্তমান সরকারকে ‘গণসম্মতিহীন সরকার’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। সামাজিক অনাচার এখন ভয়াবহ মাত্রা লাভ করেছে। আতঙ্ক ও ভয় দেশের মানুষকে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশ এখন নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবে গেছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে গিয়েই সামাজিক অপরাধীরা দেশব্যাপী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি ও গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনার একদিন পরই বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও রক্ত ঝরছে। ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলেই রক্তঝরার পরিমাণ দিনকে দিন বাড়ছে। এই অরাজক পরিস্থিতি চলতে পারে না। অত্যাচারিত জনগণের ক্ষোভ যেকোনও মুহূর্তেই বিস্ফোরিত হবে।’
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গুম-খুন-অপহরণ-নারী শিশু নির্যাতন এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মধ্যরাতে মহাভোট ডাকাতির মহা আয়োজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এ জন্যই এসব বাহিনীর মধ্যে আইনানুগ কাজে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘কোনও মানুষকেই বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা আইনসম্মত নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অস্ত্র থাকলেই তা ত্বরিৎ প্রয়োগ করা সুশাসনের লক্ষণ হতে পারে না, বরং তা বেপরোয়া ও বেআইনি কর্মকাণ্ডেরই অংশ।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করছে। নতুন করে এর সঙ্গে দেশের বিজিবিও যদি যুক্ত হয় তাহলে সীমান্তবর্তী মানুষদের আর কোনও নিরাপত্তাই থাকবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তা চলতে থাকলে বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব স্থায়ীভাবে আসন গাড়বে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন