বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অনাচারের পাহাড়সম স্তূপে আওয়ামী নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত, কখন কী হয় আতঙ্কে তাদের সারাদিন কাটে। বিভিন্ন এলাকায় তারা তলে তলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা শুরু করেছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীরা আসলেই উদ্বিগ্ন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভীর ভাষ্য, ক্ষমতার বৃক্ষ উপড়ে যাওয়ার পর অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। সে জন্য স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টার আসনে বসতে চাচ্ছেন ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতারা।
তিনি বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের শালীনতা ও ভব্যতার গুণমান বিবেচনা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে ক্রমাগত উপদেশের ভাঙা টেপ রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন।
‘মিডনাইট ইলেকশনের সরকারের মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদের এখন স্বেচ্ছায় বিএনপির উপদেষ্টা হতে চলেছেন। খামোখা আওয়ামী লীগে থেকে তার লাভ কী, বরং ওবায়দুল কাদেরকে বিএনপিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির দরজা খোলা আছে।’
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে নিজেদের কাণ্ডজ্ঞানরহিত বাকস্বাধীনতা আর বিরোধীদের বোবা করে রাখা। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নেই, আছে স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায়।
‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচনের ময়দানে রক্তক্ষয়, নজিরবিহীন গ্রেফতার অভিযান ও সংসদীয় এলাকায় রক্তস্রোত বয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীদের কিছুসংখ্যক নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।'
রিজভী বলেন, স্বৈরতান্ত্রিক দমনের সব শক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলকে অবরুদ্ধ করে এক অভিনব মিডনাইট মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর সেই সরকারের মন্ত্রীরা তামাশার মঞ্চে কৌতুক প্রদর্শন করা ছাড়া আর কিইবা এ মুহূর্তে করতে পারে।
‘কারণ ভোট ডাকাতির সফলতা ছাড়া চারদিক থেকে তারা ব্যর্থ। পথের কাঁটা সরানোর জন্য খালেদা জিয়ার মতো জনপ্রিয় একজন জাতীয় নেত্রীকে এক বছর ধরে কারাগারে আটকিয়ে রেখেছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন