তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করব।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট নিয়ে সাংবাদিকদের আতঙ্ক আছে প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকরা তাকে ওই প্রশ্ন করেন।
জামায়াত ঐক্যে থাকলে সেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকবেন না- সম্প্রতি ড. কামালের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক ভুল স্বীকার করায় আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তারা এতোদিনে তাদের ভুল বুঝতে পেরেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (ঐক্যফ্রন্ট) বলেছেন, তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবে না। এটা তাদের আরেকটি ভুল। আমি আশা করি, তারা এই ভুল থেকে বের হয়ে আসবেন এবং শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, একটি পক্ষ দেশকে পেছনের দিকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব ধরনের সমালোচনাকে সমাদর করি। আমি যখন পরিবেশমন্ত্রী ছিলাম তখন আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে ডেইলি স্টার অনেক সমালোচনা করেছে। এমনকি মন্ত্রীর কার্টুন ছাপিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের পরিবেশ পদক দিয়েছি। অনেক সমালোচনার পরও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপাকেও পরিবেশ পদক দিয়েছি।
তিনি বলেন, সমালোচনা পথচলাকে শানিত করে। তবে অন্ধ আর একপেষে সামালোচনা কল্যাণকর হয় না। সমালোচনাকে সমাদর করার সংস্কৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন।
সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশের গ্রামগুলো এখন শহরের ছোয়া পেয়েছে। এবার আওয়ামী লীগ প্রধান দেশের গ্রামগুলোকে শহরে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন।
কোনো দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সম্বিলিত প্রচেষ্টার দরকার হয়। ফলে আমাদের সম্বিলিত প্রচেষ্টার সঙ্গে গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেশি, যোগ করে তথ্যমন্ত্রী।
মেয়েরা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করলেই হবে- সম্প্রতি হেফাজত আমিরের দেওয়া এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যত দূর জানি, হেফাজত আমির যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা তারা অস্বীকার করেছেন, ফলে এটা নিয়ে আর কথা বলা জরুরি নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন