রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে দ্বিতীয় দিনে হেরে গেছেন আরও ৬৫ প্রার্থী। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে মোট ১৫০ জনের আবেদন নিষ্পত্তি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে ৬৫ জনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। ৭৮ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। আর ৭ জনের আবেদন পেন্ডিং রেখে আগামীকাল শনিবার আদেশ দেবে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে প্রথম দিন বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ১৬০ জনের আপিল নিষ্পত্তি করে। এর মধ্যে ৮০ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পান, যার ৩৮ জনই বিএনপির এবং একজন আওয়ামী লীগের। এদিন ১৩ জনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। আর চারজনের আবেদন পেন্ডিং রাখা হয়।
শুক্রবার যে ৬৫ জনের আপিল নামঞ্জুর হলো
চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. সাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আব্দুল মজিদ, কুমিল্লা-১০ মো. শাজাহান মজুমদার, বরিশাল-৪ মো. মেজবা উদ্দীন ফরহাদ, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা ও ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম ও ইয়াসমিন আক্তার পপি, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এমএ মান্নান হাওলাদার, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফরাজী, ভোলা-২ হুমায়ন কবির, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর, কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, শরীয়তপুর-১ মো. আলমগীর হোসেন, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী।
কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন, নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল, গোপালগঞ্জ-৩ এ জেড আপু শেখ, মুন্সীগঞ্জ-২ মোহাম্মদ নোমান মিয়া, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, ঢাকা-২০ জামাল উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর-১ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, নারায়ণগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ-৩ অনন্যা হোসাইন মৌসুমী, মৌলভীবাজার-৩ আব্দুল মোসাব্বির, হবিগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, হবিগঞ্জ-৩ মওলানা আতাউর রহমান, সিলেট-২ অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার, সিলেট-৬ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া, সুনামগঞ্জ-১ কামরুজ্জামান কামরুল, সিলেট-২ মহিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ-৫ রঞ্জিত কুমার দে, হবিগঞ্জ-১ মোহাম্মদ বদরুর রেজা, হবিগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ আব্দুল মামুন, সিলেট-৩ আব্দুল ওদুদ, টাঙ্গাইল-৮ কাজী আশরাফ সিদ্দিকী, নরসিংদী-২ ইঞ্জিনিয়ার মুহসীন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ মোশারফ হোসেন, গাজীপুর-৪ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, ঢাকা-১৫ মোহাম্মদ ছলীম উদ্দিন।
রংপুর-৩ হাবিবুল হক সরকার, ঠাকুরগাঁও-৩ গোপাল চন্দ্র রায়, গাইবান্ধা-৩ তফিকুল ফামিন মন্ডল, কুড়িগ্রাম-৪ ইমরান এইচ সরকার, কুড়িগ্রাম-৪ এসএম জাহাঙ্গীর, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আনসার আলী, ময়মনসিংহ-৪ আবু জাফর জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ মোহাম্মদ হোসেল মিয়া, শেরপুর-৩ মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী।
যে ৭ জনের আপিল আবেদন পেন্ডিং রয়েছে, তারা হলেন, ঢাকা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, রংপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএম সাদিক, গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা বারী, ঢাকা-২০ আসনের বিএনপির সুলতানা আহমেদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সৈয়দ শাহ মোবাশ্বের আলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসেন ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মেহেদী হাসান।
প্রসঙ্গত, প্রথম দিন ১ থেকে ১৬০ জনের মনোনয়নপত্রের আপিল শুনানিতে ৮০ জন বৈধ ও ৭৭ জনের অবেদন খারিজ করে দেয়া হয়।
শনিবার ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এ শুনানি শুরু হবে, চলবে যতক্ষণ না শেষ হয়।
আগামীকাল শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ঢাকা-৩ এ গণফোরামের প্রার্থী মোস্তফা মহসীন মন্টুর আপিলে শুনানি রয়েছে।
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন