নয়াপল্টনে জ্বালাও পোড়াও এর ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের নিশ্চুপ থাকা অধঃপতন মন্তব্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাহেব অপশক্তির কাছে এত বেশি বিক্রি হয়ে গেলেন, বিস্মিত হলাম। নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা নিয়ে তিনি একটা কথাও বললেন না। এটা সত্যি খুব দুঃখজনক ঘটনা।’
শনিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিম বলেন, ‘যারা এখনও ঠিক করতে পারেনি দলনেতা কে হবে, তাদের কাছে জনগণ কি আশা করতে পারে? আমাদের যেমন সিদ্ধান্ত আছে, যখনই নির্বাচন হবে প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিবেন ১৪ দল তার পক্ষে থাকব। ১৪ দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’
নির্বাচনে প্রচারণার কাজে ১৪ দলের পক্ষ থেকে একটি একটি টিম করা হবে উল্লেখ করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, ‘এই টিম গ্রামে-গঞ্জে সভা সমাবেশ করবে। এই টিমে নেতৃত্ব দিবো আমি নিজেই। বিজয় দিবস থেকে বিজয় মঞ্চ প্রতিটি জেলা উপজেলায় বিজয় মঞ্চ তৈরি করবে। এই মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাসসহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হবে। আশা করি আমরা বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাবো।’
ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে কোনও সময়ই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী দল পরাজিত হয়নি। জাতির জনকের নেতৃত্বে এ মাসেই আমরা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিলাম। ডিসেম্বর মাস আসলেই কি কারণে যেন বিএনপি-জামায়াত জোট ভয় পায়। তাদের একাত্তরের সেই পরাজয়ের কথা মনে হয়। এই কারণেই ডিসেম্বর মাস আসলে তারা আতঙ্কিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য আমরা দেখলাম নির্বাচন কমিশন যখন তফসিল ঘোষণা করলো, তারপরও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে একাধিকবার জানিয়েছে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য। নির্বাচন কমিশন তাদের অনুরোধ থেকে একাধিকবার তারিখ পরিবর্তন করলো। এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কিংবা ১৪ দল কেউ কোনও আপত্তি করেনি। আমরা বললাম ঠিক আছে, তাদের সুযোগ দেওয়া হোক। এরপরও দেখলাম তারা আবার আবদার করলো। ডিসেম্বর মাসে তারা নির্বাচন করতে চায় না। এজন্য আমাদের ধারণা ডিসেম্বর মাস আসলে তারা ভয় পায়, তারা আতঙ্কিত হয়, হেরে যাওয়ার ভয়ে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন