জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্বস্থ হোটেলে খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুন রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসের ২নং গেইটে সব খাবারের হোটেল (সারেং, ভোজন বিলাস, বাঙালি ভোজ) গুলাতে দাম দ্বিগুন করে রাখছে। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী সহ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী -অভিভাবক সবাই। আগে মাছের দাম ৩০ টাকা থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মুরগি ব্রয়লার আগে ছিল ৩০, কিন্তু বর্তমানে বাড়িয়ে ৫০ টাকা রাখছে। খাসি ও গরুর গোস্তের দাম যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকা থাকলেও এখন ১০০-১২০ টাকা নিচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, ‘খাবারের দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে।’
একজন অভিভাবক বলেন, ‘এভাবে খাবারের দাম বাড়িয়ে আমাদের জিম্মি করা হচ্ছে।’
জাককানইবিতে ভর্তিচ্ছু সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, রাকিবুল হাসান রাকিব ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কথা শুনে খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের দাম সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানায়ে বলেন, ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আমাদের অতিথি। তাদের যেন কোনো প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না হয়- তার জন্য ছাত্রলীগ সদা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে একটা চক্র দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা করে, আমরা অবশ্যই তা প্রতিহত করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, দাম বৃদ্ধি এটা খুবই বাজে একটা কাজ। আমি প্রশাসনকে নিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম শিক্ষার্থীদের অনুকূলে আনার চেষ্টা করবো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন