একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে আওয়ামী লীগের পাতা ফাঁদ বলে উল্লেখ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা আরও কর্মসূচি দেব। নির্বাচন কমিশনকে এখনও বলব, তফসিল পিছিয়ে দেন। আপনারা এমনই একটা ফাঁদ পেতেছেন, যেনো আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে না পারি। ওই ফাঁদ ছিন্নভিন্ন করে সামনে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংঘাতের রাজনীতি চায় না। আমরা দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। আমরা দেশে কোনো শূন্যস্থান তৈরি করতেও চাই না। আমরা বলেছি সংসদ ভেঙে দেন। এক সঙ্গে দুইটা সংসদ থাকতে পারবে না। উনারা বললেন, সংসদ ভেঙে দিলে সরকার থাকবে না। আবারও সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেবে।
মান্না বলেন, সামরিক বাহিনীকে এতো ভয় পান কেন? এতো কিছু হয়েছে তারাতো ক্ষমতা নেয়নি। আমরা সামরিক শাসন চাই না, আমরা নির্বাচন বানচাল করতে চাই না। কিন্তু শেখ হাসিনাকেও চাই না।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন করবো, উনি (শেখ হাসিনা) দূর থেকে দেখবেন। যদি নির্বাচন করতে চান দাঁড়াবেন, ভোট দিতে চান দেবেন, বক্তৃতা করতে চান করবেন। কিন্তু ক্ষমতার ঝাণ্ডা নিয়ে আমাদের পিঠের উপর হাঁটবেন আর ভোট দিতে বলবেন এইটা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, আপনি বলেছেন- সব পার্টি নির্বাচনে আসুন। কিন্তু বিএনপির মত একটি পার্টি তাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাবে কেন?
তিনি বলেন, কোর্ট বলেছেন বেগম জিয়া দোতলা থেকে নামতে পারেন না। কোর্ট যখন রায় দিয়েছেন তখন বাধ্য হয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল সব নিয়ম ভেঙে হাসপাতাল থেকে তাকে কারাগারে নিয়েছেন।
মান্না আরও বলেন, ক্ষমতায় থেকে যদি শেখ হাসিনা মনে করেন এক মাঘে শীত যায়, তবে ভুল করেছেন। এই শীত বারে বারে আসবে। এক শীত বেগম জিয়া কাটাবেন, দশ শীত আপনাকে কাটাতে হবে।
এর আগে দুপুর আড়াইটায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভাগীয় সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে এ জনসভা শুরু হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই জনসভায় যোগ দেননি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তবে তিনি জনসভায় টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য দেন।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন