ময়মনসিংহ শহরতলীর আকুয়া এলাকায় আধিপত্যকে কেন্দ্র করে মহানগর যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ হত্যার জের ধরে আবারও হামলা, ভাংচুর, গুলি বর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরন করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় একটি গ্যারেজে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি ব্যাটারি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর করে এবং ৬-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টবর ) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে শহরতলীর আকুয়া হাবুন ব্যাপারী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। অন্যদিকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ টহলের জোরধার করা হয়েছে।
নিহত আজাদ শেখের বড় ভাই সালাহ উদ্দিন শামীম গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ছোট ভাই আজাদের হত্যাকারীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে একক আধিপত্য বিস্তার করার জন্য তারা তান্ডব চালিয়ে একটি গ্যারেজে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি অটো রিকসা ভাংচুর করেছে। তখন তারা ৬/৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও ককটেল বিস্ফোরন করে পালিয়ে যায়। আমি প্রশাসনের কাছে এদের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে গ্যারেজ মালিক সাদ্দাম হোসেন জানান, ‘গ্যারেজে ১৫-২০টি ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা চার্জ দেয়া ছিল। হঠাৎ গুলি ও ককটেলের শব্দ পেয়ে বাসা থেকে দৌড়ে এসে দেখি আমার গ্যারেজে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ৭-৮টি অটো রিকসা ভাংচুর করেছে। এসব রিকসার মালিকরা খুবই গরীব। এখন তাদের কী জবাব দিব? এবিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রশাসন যেন দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন।’
জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন জানান, ‘খবরটি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুপুরে দলীয় বিরোধের জেরধরে প্রকাশ্যে মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখকে গুলি, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একই এলাকার যুবলীগের কর্মীরা। আজাদ এক সময় মোহিত-উর রহমান শান্তর গ্রুপ করতেন। পরে বনিবনা না হওয়ায় জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটুর গ্রুপে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন