জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জোট আর ভোটের নানা সমীকরণ মেলাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতার হিসেব মেলাতে নতুন নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। চলছে জোটে ভাঙা গড়ার খেলাও। হাতে গোণা কয়েক নেতার দলও এখন বেশ দাপট দেখাচ্ছে।
ক্ষমতার হিসেব মেলাতে ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি। এখানেই শেষ নয়, দুই দলেরই বড় একটি অংশ ২০ দলীয় জোটে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে পাল্টাপাল্টি বহিস্কার করা হয়।
নানা নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকল্প ধারা বাংলাদেশর প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধূরীকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর যাত্রা শুরু হয়। নতুন এ জোটের যাত্রা শুরু হতে না হতেই ২০ দলীয় জোটে ভাঙন শুরু হয়। নতুন জোট গঠনের চার দিনের মাথায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থেকে বের হয়ে যায় ন্যাপ ও এনডিপি। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে দল দুটির নেতারা তাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বহিস্কার করে ২০ দলে থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
ন্যাপের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু ও সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন শাওন সাদেকী সমন্বয় করে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। শিগগিরই তারা দলের সভা করে নেতৃত্ব ঠিক করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন।
এন শাওন সাদেকী পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া দলের সবাই ২০ দলীয় জোটে আছে, থাকবে।
তিন চার দিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে এনডিপিও ২০ দলেই থেকে যাবে। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেম হোসেন দলের হাল ধরছেন।
তিনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা ২০ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাবো। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি। ইতোমধ্যে সুবিধাভোগীদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলে যাওয়া নেতাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সমস্যার কারণে ক্বারী আবু তাহের আবার সঙ্গে থাকতে চান। তাকেও দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘২০ দলীয় জোট আছে, থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। ন্যাপ এবং এনডিপিও আমাদের জোটে আছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে কেউ যদি দলকে জিম্মি করে তার জবাব দলের নেতাকর্মীরাই দিয়ে থাকে। ২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাপ এবং এনডিপি শীর্ষ নেতারা দলের বৃহৎ অংশের নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে জোট থেকে বের হয়ে গেছে। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। দল থেকে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোট অটুট আছে এবং থাকবে।
২০ দল থেকে বের হয়ে আশা ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ২০ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ছিলাম। দেখি না এখন কী হয়!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন