ঢাকায় মঙ্গলবার যখন সদ্য গঠিত রাজনৈতিক জোটে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রথম সভায় বিএনপি নেতারা যোগ দিয়েছিলেন, সে সময় তাদের নেতৃত্বে ২০-দলীয় জোটের দুই শরিক জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি—এনডিপি ঘোষণা দেয় তারা জোটের সঙ্গে আর নেই। খবর বিবিসির।
ঐ দুই শরিক দলের বক্তব্য ছিল, নতুন জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে বিএনপি তাদের অন্ধকারে রেখেছিল, তাদের মতামতের তোয়াক্কা করেনি।
প্রথমে জাতীয় ঐক্য গঠনের সময় বিকল্প-ধারা সরে যায়। এর পর পুরাতন জোট থেকে দুই শরিক দল জোট ছাড়ার ঘোষণা দিল।
জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি—ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি—এনডিপি যে বক্তব্য দিয়েছে সেটাকে কিভাবে দেখছে বিএনপি?
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এই দুই দল যে বক্তব্য দিয়ে জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটা সঠিক নয়।
তিনি বলেন ‘২০ দলে আমরা বার বার মিটিং করেছি। এবং যেদিন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ঘোষণা করা হয় তার একদিন আগেও আমাদের ২০ দলের মিটিং হয়েছে। এবং সেখানে আমরা আমাদের ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা নীতি এসব বিষয়ে আলোচনা করে ২০ দল থেকে মতামত নেয়া হয়েছে। সেদিন তারা এই গুলোর সাথে একমত হয়েছে’।
সামনে নির্বাচন এবং এখন সব দল এবং জোট গঠনের পিছনে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সেখানে আসন বিন্যাস একটা বড় ইস্যু। জোট যত বড় তত আসন বিন্যাসের প্রক্রিয়াটিও জটিল আকার হয়ে যায়।
মোশাররফ হোসেন বলছিলেন, আসন বণ্টন নিয়ে ২০ দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের মধ্যে এখনো কোন আলোচনা হয়নি। বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী এই রাজনৈতিক দলটি এখন দুটি জোটের অন্তর্ভুক্ত অবস্থায় রয়েছে।
দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক জোটের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কতটা সহজ হবে বিএনপির জন্য?
তিনি বলছিলেন, ‘আমরা মনে করি আমরা যেহেতু ২০ দলের সর্মথন, অনুমতি এবং তাদের অনুমোদন নিয়ে এই জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট করেছি তাই দুটিই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন