নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শরিকদের নিয়ে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনসহ দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব। রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় আড়াই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে রব বলেন, ‘একটি শরিকদের নিয়ে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন। অপরটি হচ্ছে সমাবেশ, মহাসমাবেশ অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের অধিকার, কর্তৃত্ব, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য জনগণ ও ফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমরা প্রথম কর্মসূচি দিচ্ছি আগামী ২৩ অক্টোবর সিলেটে প্রোগ্রাম হবে। এটি সমাবেশ-মহাসমাবেশ-গণসমাবেশ হবে। এর আগে অবশ্যই আমরা হযরত শাহ জালালের মাজার জিয়ারত করব।’
সিলেটের পর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুরসহ বিভাগীয় শহর ও মহানগরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে বলে তিনি জানান।
জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করতে পারি সেজন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।’
আগামীকাল বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে জোটের লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের নাম গণমাধ্যমকে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রবের বাসায় এই বৈঠক শুরুর হয়। বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টা পর আসেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপষ্টো কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা ডা. জাফরুল্লাহ ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মো. মনসুরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী) ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন কয়েক মাস ধরেই আলাপ-আলোচনা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। তবে নানা নাটকীয়তার পর সর্বশেষ গত শনিবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
জোটের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন না এর অন্যতম উদ্যোক্তা বি. চৌধুরী। শুরুতেই হোঁচট খাওয়ায় অনেকে দ্বিধান্বিত এর দীর্ঘ পথচলায়। আবার অনেকে বলছেন, রাজনীতিতে এটি তেমন প্রভাব ফেলবে না। অবশ্য কেউ কেউ বলছেন, সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপি অনেকটা দুর্বল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হওয়ায় বিরোধী জোট একটা শক্ত ভিত পেল। এর মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশীদারত্বমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনাটা জোরালো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন