আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যিনি নোট অব ডিসেন্ট দিলেন বা বেরিয়ে গেলেন তিনি সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করেছিলেন সেখানে মাহবুব তালুকদার বিএনপির মনোনীত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন। সেটা শুধু স্মরণ করিয়ে দেই। তার সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বনানীতে নির্মিত বিআরটিএ’র নতুন ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল (সোমবার) কমিশনের ৩৬তম সভা শুরুর পর ৭ মিনিটের মাথায় মাহবুব তালুকদার বৈঠক ছেড়ে চলে যান। কারণ বৈঠকে তিনি ৫ দফা দাবিতে বক্তব্য দিতে চাইলে তাকে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি বলে পরে তিনি প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান।
সেদিন মাহবুব তালুকদার সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলেও অন্যান্যদের নিয়ে বৈঠক চালিয়ে যান সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এ সময় কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। তবে এর একদিন পর আজ আবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মাহবুব তালুকদার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তো নিরাপত্তা পরিষদ না যে পাঁচজনের সম্মতি না হলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচজন স্থায়ী সদস্য আছেন তারা একমত না হলে ‘মেজর’ কোনও সিদ্ধান্ত নিরাপত্তা পরিষদ নিতে পারে না। এটা নিরাপত্তা পরিষদ না। এখানে অধিকাংশ একমত হলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আর একজন বিরোধিতা করেন, এটাও গণতন্ত্র। এটা অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র। একজনের ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার আছে। এটি নিয়ে বেশি কিছু বলার অবকাশ নেই।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে বলেন, কমিশনের একজন সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন, এটা কোনো বাধা নয়, প্রতিবন্ধকতাও না। কাজেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি অযৌক্তিক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন