বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই।”আজ সেমাবার বেলা ১২ টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গতকাল মাওয়া ও শিবচরের জনসভায় অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী আজগুবি, উদ্ভট, স্ববিরোধী নানা কথা বলেছেন-যা জাতিকে হতবাকই করেনি, মানুষ মুচকি হেসেছেও। আসলে তিনি তাঁর বক্তব্যে নিজ দলের অনাচারগুলো অন্যের ওপর দায় চাপিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।”
রিজভী বলেন, “২০০৬ সালের অক্টেবরে আপনি যখন লগি-বৈঠা নিয়ে আপনার কর্মীদের ঢাকায় আসতে বলার নির্দেশ দিয়ে দলীয় লোকদেরকে দিয়ে ২৮ অক্টোবরে লাশের ওপর নৃত্য করালেন, তারপরেও কী আপনাকে শান্তির দূত বলতে হবে?”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “চট্টগ্রামে হত্যার হুমকির কথা বাদই দিলাম, এবারে ক্ষমতায় এসে বিএনপি’র মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে যুবনেতা-ছাত্রনেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের গুম হওয়া-যা প্রত্যক্ষভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, তারপরেও কী আপনাকে মানবতার জননী বলতে হবে?”
“বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার বিচার বহির্ভূত হত্যার হিড়িকে দেশব্যাপী আতংক ও ভয়ের গ্রাসের মধ্যেও আপনাকে কী বলতে হবে আপনি আইনের শাসনের সরকারের প্রধান?” বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আপনার শাসনামলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে, দেবালয়ের পুরোহিতকে হত্যা করা হয়েছে, বিদেশীরা হত্যার শিকার হয়েছে। আপনার দলের এমপি কচি বাচ্চা ছেলের পায়ে গুলি করেছে, নারায়ণগঞ্জের নিস্পাপ কিশোর ত্বকী হত্যারও অভিযোগ সেখানকার আপনারই একজন এমপি’র বিরুদ্ধে, তারপরেও আপনাকে কী মাদার অব তেরেসা বলতে হবে?”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আপনি নিজেকে একক ভাষ্যকারে পরিণত করে বক্তৃতায় অন্যকে খুনী, দুর্নীতিবাজ বলছেন-অথচ খুন, জখম যে আওয়ামী শাসনের ঐতিহ্য তা কিন্তু মানুষ ভুলে যায়নি। মানুষ ভুলে যায়নি ‘৭২ থেকে ‘৭৫ এ হাজার হাজার প্রগতিশীল নেতাকর্মীর হত্যার কথা, ভুলে যায়নি প্রথম বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ শিকদারের হত্যাকান্ড ও এই হত্যাকান্ডের পর আস্ফালন-এরপরেও কী আপনাদেরকে শান্তির বার্তা বাহক বলতে হবে?”
তিনি আরও বলেন, “যে দলের এমপি লতিফ সিদ্দিকী বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিএনপি’র লোকদের হত্যা করার আদেশ দেয়, সেই দলকে কি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের সঙ্গে তূলনা করবো? আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম তো বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে সেবামূলক কাজ করে। আর আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত জীবন্ত মানুষকে লাশ করার কাজ করে।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন