আগামী নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য ১০টি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহার তৈরির কাজ হচ্ছে। পাশাপাশি আর্থ সামাজিক ১৯টি খাতে চলমান অগ্রযাত্রার চিত্রও তুলে ধরা হবে। থাকবে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনাও।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের চমক ছিল ভিশন-২০২১। ২০১৪ সালের ইশতেহারে দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারও এমনই কোনো চমক দিতে চায় ক্ষমতাসীন দল। এ বিষয়ে ড. মশিউর রহমান জানান, দেশের সম্ভাবনাময় অঞ্চলগুলো থেকে মানুষের চাহিদা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে সেসবের আলোকেই তৈরি হবে এবারের ইশতেহার।
ড. মশিউর রহমান আরো বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম উন্নয়নের সুযোগ সুবিধা আছে। সে সুযোগ সুবিধাগুলোকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। বিভাগগুলোর বিভিন্ন জেলায় যারা ব্যবসা এবং শিল্পের নেতৃত্ব দেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। এছাড়া মানুষের চাহিদা এবং মতামতকেও প্রাধাণ্য দেয়া হবে এবারের ইশতেহারে।
গত দুবারের ইশতেহারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল জ্বালানি খাত। তবে এবার সমানভাবে গুরুত্ব পাবে- দারিদ্র্য বিমোচন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার অবসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও আইসিটি, মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ এবং গণমুখী দক্ষ প্রশাসন, বেসরকারি খাত ও বাজার ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা এবং নতুনভাবে যুক্ত হচ্ছে ব্লু ইকোনমির বিষয়টি।
নির্বাচনী ইশতেহারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সামনে চ্যালেঞ্জ হলো মেনুফকচারিং সেক্টর অর্থাৎ শিল্প-কারখানা বাড়াতে হবে। শিল্প-কারখানা বাড়ানোর পথে মানুষের সবচেয়ে বড় বাধা কি? অবকাঠামো। এই অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়া হবে। সুশাষনের বিষয়টিতেও আমরা গুরুত্ব দিব। দেশে দুর্নীতি কমিয়ে আনার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে প্রাধান্য দেবার পাশাপাশি বৃহৎ প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। থাকবে যুব সমাজকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তাদের সম্পৃক্ত করার বিষয়টিও।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে বলেন, যে সময়টা এখন আমাদের কাছে আছে, তা কাজে লাগাতে হবে। কর্ম সম্পাদনে করার যে দক্ষতা, সে দক্ষতা তাদের থাকতে হবে।আওয়ামী লীগের ঘোষণাপত্রের আলোকেই এবারের ইশতেহার তৈরি করা হবে বলে জানান ইশতেহার প্রণয়নের সঙ্গে জড়িতরা।
মানবকণ্ঠ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন