বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেখতে দেখতে ১০ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর?
রোববার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ক্রসিং এলাকায় এক পথসভায় তিনি এমন প্রশ্ন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোজার ঈদ, কোরবানির ঈদ তারপর আবার রোজার ঈদ... ১০ বছরে ২০টা ঈদ চলে গেছে। দেখতে দেখতে ১০ বছর, মানুষ বাঁচে কয় বছর? আপনাদের আন্দোলন হবে কোন বছর? নির্বাচনের বাকি তিন মাস। এখন কি আর আন্দোলন হবে? মানুষ এখন নির্বাচনমুখী।’
তিনি দাবি করেন, নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ভর করেছিল। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করেছিল।
আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী সড়ক যাত্রার পথসভায় দলটির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ধানের শীষ এখন বিষ। এদেশের মানুষ এই বিষ আর খাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব দাওয়াত করেছে বলে কেন জনগণের সঙ্গে ফখরুল সাহেব প্রতারণা করলেন? কেন মিথ্যাচার করা হলো? এর মধ্যদিয়ে কি প্রমাণ হয়- বিএনপি ভুয়া, ফখরুলও ভুয়া?’
তিনি বলেন, ‘এরকম প্রতারক দল ক্ষমতায় আসলে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না, দেশের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের উন্নয়ন হবে না।’
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেতায় নেতায় ঐক্য, এটা জাতীয়তাবাদী ঐক্য। আইআরআই জরিপে এসেছে শেখ হাসিনা ৬৬ শতাংশ জনপ্রিয়। ৬৬ শতাংশ জনপ্রিয়তাকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য হয় না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না, হবে জাতীয়তাবাদী-সাম্প্রদায়িক ঐক্য। জনগণের কাছে এই ঐক্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
নির্বাচনী সড়ক যাত্রার পথসভায় বিপুল জনসমাগম হচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এত এত লোক হচ্ছে, কিন্তু পত্রিকায় দেখবেন সিঙ্গেল একটা ছবি। মিডিয়ার পছন্দ হয় না। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। যারে দেখতে না রি, তার চলন বাঁকা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ৫০০ জনের মিটিং করে, সেটা বিরাট করে পত্রিকায় ছাপান। আর আমরা মিটিং করলে, কোনোমতে শেখ হাসিনার সিঙ্গেল ছবি আসে। আমাদের জনপ্রিয়তা মিডিয়ায় ছবি না দিয়ে ঢাকা যাবে না। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ঢাকা যাবে না।’
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
এসময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন