সব জল্পন-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশের মঞ্চে উঠলেন বিএনপিসহ অধিকাংশ সরকারবিরোধী দলের নেতারা। এর মধ্য দিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পথচলা শুরু হলো। পরে সমাবেশে আগামী ১ অক্টোবর থেকে একসঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন-কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতারা। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে শ্রেণি-পেশার নাগরিকদের নিয়ে কমিটি গঠনেরও ঘোষণা দেওয়া হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ গণজাগরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। একই সঙ্গে সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে
সংসদ ভেঙে দিতে হবে। গতকাল রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে নাগরিক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
by Taboola Sponsored Links You May Like
This Woman Reads 100 Books A Month
Blinkist
Choose a plane and play this Game for 1 Minute
Delta Wars
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণফোরাম সভাপতি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বক্তব্য দেনÑ বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ মোমেনা খাতুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায়চৌধুরী, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
সবার বক্তব্য শেষে নাগরিক সমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বন্দর রক্ষা কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এ সময় সবাই হাত তুলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষণাপত্রকে সমর্থন জানান। নাগরিক সমাবেশ পরিচালনা করেন আ ব ম মোস্তফা আমিন। সমাবেশে জামায়াত ছাড়া ২০-দলীয় জোটের শীর্ষনেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় মিলনায়তনের মধ্যে সমাবেশ পরিচালনায় বিঘœ ঘটে।
সমাবেশে যোগ দেন ২০-দলীয় জোটের শরিক বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মজিবুর রহমান, আহমেদ আবদুল কাদের, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মাওলানা নূর হোসাইন কাশেমী ও জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘কেউ কেউ আমাদের এ জাতীয় ঐক্যের প্রচেষ্টাকে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। আমরা প্রকাশ্যে সভা করছি, কোনো গোপন বৈঠক করছি না। যারা জনগণের শক্তিকে ভয় পায়, তারা জনগণের সংগঠিত হওয়ার প্রচেষ্টাকে ষড়যন্ত্র বলে জনগণকেই অপমান করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু আমাকে সদ্য স্বাধীন দেশের সংবিধান রচনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এটা আমার সবচেয়ে বড় পাওনা। ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়া-পাওয়া বলতে কিছু নেই। সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ক্ষমতায়নÑ একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার পবিত্র কর্তব্য।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকারসহ মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। জনগণ তাতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। মৌলিক বিষয়ে মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। এখন সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের প্রচেষ্টা সফল হবে ইনশা আল্লাহ। নেতাকর্মীসহ সবার উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। মুক্তির বার্তা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন। অতীতে জনগণের বিজয়কে কেউ ঠেকাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।’
দশ ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা করে এর জবাব চান যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যে স্বাধীনতা আনতে লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়েছেÑ তার মূল্যবোধ আজ কেন পদদলিত? দিন-রাত প্রতিটি ঘণ্টা নিয়ে, আতঙ্কে কেন থাকবে মা-বোনেরা, শঙ্কায় থাকবে গুম, রাহাজানি নিয়ে, কেন পুলিশ, র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের ছাড় দেবে? কেন ঘুষ দুর্নীতিকে ‘স্পিড মানি’ বলে সরকারিকরণ করা হলো? সমস্ত জাতির নৈতিকতা বোধকে পদদলিত করা হলো? এই অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের? নিরাপদ সড়কের দাবিতে কচি-কিশোরদের রাস্তায় নামতে হবে কেন? কেন কোটা সংস্কারের পক্ষে আমাদের আদরের ধন মেধাবী ছাত্রদের আন্দোলন করতে হবে? কেন তাদের গুন্ডা দিয়ে, হাতুড়ি, চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করা হবে, এর জন্যই কি স্বাধীনতা? কেন আপনাদের অপরাধের প্রতিবাদে কথা বলার জন্য, সভা-সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে? অথচ আপনারা যখন- তখন, যত্রতত্র সভা-সমাবেশ করতে পারেন।
তিনি আরও প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কেন আমার ভোট আমি দিতে পারব না? ভোটের অধিকারকে কেন দলীয়করণ করা হলো। সারা পৃথিবীতে ইভিএম পরিত্যক্ত, ইভিএম কেউ চায় না। কেন আপনাদের সুবিধার জন্য ইভিএম গ্রহণ করতে হবে? কেন সরকারি কর্মচারীদের দলীয়করণ করা হলো? কেন তাদের সব সময় ভয়ভীতির মধ্যে রাখা হচ্ছে? কেন স্বাধীন দেশের মা-বোনদের ও শিশুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে? আমাদের রাষ্ট্র তুমি কোথায়? এখন রুখে দাঁড়ানোর সময়, এখন অধিকার আদায়ের সময়। প্রতিবাদের কণ্ঠ ধারালো করতে হবে।’
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘আজ আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষ ও স্বাধীনতার পক্ষশক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার গত ১০ বছরে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, এমনি আবার একটি অনুরূপ সরকারের ঝুঁঁকি আমরা নিতে পারি কি? সংসদে, মন্ত্রিসভায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতেই হবে। না হলে স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা যাবে না। আমার পবিত্র স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আমার পবিত্র পতাকার বিরুদ্ধে, লাখ লাখ মানুষের রক্তে ভেজা, লাখো মানুষের চোখের পানিতে ভেজা এ মাটির বিরুদ্ধে যারা ছিল, যারা আছেÑ তাদের সঙ্গে ঐক্য করব না। শুধু স্বাধীনতার পক্ষশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য বেগবান হতে পারে।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকারের মেডিক্যাল বোর্ডের সমালোচনা করে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আমার ১৫ বছরের ছোট। তার সুস্থতার জন্য আমি বিবৃতি দিয়েছি। তার চিকিৎসা কে করবে, সরকার? না। রোগী যাকে মনোনীত করবেন, তিনিই তার চিকিৎসা করবেন। এ অধিকার প্রতিটি নাগরিকের। মনোনীত চিকিৎসক ছাড়া রোগীর রোগের ইতিহাস রিপোর্ট অন্য কেউ জানতে পারবে না। গায়ে হাতও দিতে পারবে না। এটা চিকিৎসকরাও জানেন। ডা. জাফরুল্লাহদের এ নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত ছিল।’
ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন শুরুর আহŸান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে সবাই একটি কারণে উপস্থিত হয়েছেনÑ এ সরকারের পরিবর্তন দেখতে চান। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে। যিনি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে গেছেন, তাকে আজ অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া বলে গিয়েছিলেনÑ আগে দেশকে বাঁচাতে হলে, মানুষকে বাঁচাতে হলে এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে জাতীয় ঐক্য ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, সকল দল মত নির্বিশেষে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল সংগঠন ব্যক্তি সবাই এক হয়ে স্বৈরাচার, যারা মানুষের বুকে পাথরচাপা দিয়ে বসে আছে, তাকে সরাতে হবে। এ জন্য জনগণের ঐক্যই হচ্ছে একমাত্র বিকল্প , অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে সব বক্তাই পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। এ দুঃশাসন আমাদের স্বাধীনতার সব স্বপ্ন ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। আমাদের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলামÑ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করব, সকলের সমান অধিকার নিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ তৈরি হবে। সেই দেশটাকে এখন তারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের জন্য নীলনকশা করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে একটা স্যাঁতসেঁতে পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। তার যে মৌলিক অধিকারগুলো রয়েছে, তা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার পরও তিনি কারাগার থেকে খবর পাঠিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে জাতীয় ঐক্য তৈরি করে এ দুঃশাসন সরাতে হবে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে এ গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে হাজার হাজার প্রাণ গেছে। বিএনপি ৫শর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে যে দাবিগুলো, তা সবার দাবি। যেখানে প্রধান শর্ত হচ্ছেÑ তফসিলের আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই প্রথম জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আজ এ প্ল্যাটফরম থেকে জাতীয় ঐক্যের শুরু হলো।
জাতীয় ঐক্যের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই স্বৈরাচারকে সরাতে জাতীয় ঐক্য ছাড়া সম্ভব নয়। এটা মাইলফলক, নতুন যাত্রা শুরু হলো। জাতীয় ঐক্যের সাফল্য কামনা করে বিগত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘ড. কামালের নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, আমরা তার সাফল্য কামনা করি। স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকারের জন্য কেন আজ আন্দোলন করতে হবে। এটা খুবই লজ্জাকর।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য মানে জনগণের ঐক্য। যখন জনগণের ঐক্য হয়, তখন স্বৈরাচার পালিয়ে যায়। দেশ আজ গুম, খুন ও বেওয়ারিশ লাশের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।
নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ অবস্থায় কি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? আমরা কি আমাদের সুষ্ঠু ভোট দিতে পারব? আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। কিন্তু আমাদের হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে বলা হচ্ছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি চাই।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ‘এ জাতীয় ঐক্য হবে দলে দলে নয়, নেতায় নেতায় নয়, ঘরে ঘরে, জনে জনে।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যমান অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এ সময় তিনি যুক্তফ্রন্টের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশে একটি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন