জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবার একটি নতুন দল গঠনের উদ্যোগ দৃশ্যমান। কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রের দূতাবাস এবং দেশের সুশীল সমাজের একাংশ ‘তৃতীয় শক্তির’ উত্থানে এরকম একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মদদ দিচ্ছেন। ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট ছাড়াও এই নতুন রাজনৈতিক দলে বিএনপির বড় একটি অংশ থাকবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগেরও মনোনয়ন বঞ্চিত এবং ওয়ান ইলেভেনের পর পরিত্যাক্ত কয়েকজনকে এই নতুন রাজনৈতিক দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চলছে।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য কূটনৈতিক পাড়ায় এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। এই উদ্যোগের মূল পৃষ্ঠপোষক হলো ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। তবে, এই উদ্যোগে মার্কিন দূতাবাসকে যুক্ত করেছে দেশের সুশীল সমাজের একটি অংশ। এই অংশটি দীর্ঘদিন ধরেই মনে করে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে রাজনীতিতে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি। সুশীল সমাজের এই অংশটিই ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এরাই ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ তৈরি করেছিল। এদের পরিকল্পনাতেই দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময়েও ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে কিংস পার্টি গঠিত হয়েছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ বিএনপির অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন। ঢাকা দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাইদ খোকনও এই কিংস পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এবার নির্বাচনের আগে আবার তৃতীয় শক্তির উত্থানের চেষ্টা চলছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী দুজনই কেউ কারও নেতৃত্ব মেনে নিতে রাজি নয়। ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নামে যেমন সব দলকে কাছে টানার চেষ্টা করছে, তেমনি বি. চৌধুরীও ‘যুক্তফ্রন্ট’কে প্রধান সরকার বিরোধী প্লাটফরম করতে চাইছেন। প্রথমদিকে এটাকে সরকার বিরোধী জোট মনে করা হলেও এখন এটি নতুন একটি রাজনৈতিক দলের অবয়ব পাচ্ছে। সুশীল সমাজ ড. কামাল এবং বি চৌধুরীকে মেলানোর কাজ করছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই ড. কামাল এবং অধ্যাপক চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এক সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেবেন। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থাকবেন বলে জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও বিএনপির আরও কিছু শীর্ষনেতা নতুন দলে যোগ দিতে পারেন। এক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খানের নাম আলোচনায় আছে। নতুন এই দলে জেএসডির আ.স.ম. আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্নার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের সাবেক দুই নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সঙ্গেও নতুন দল নিয়ে কথা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন বলছেন, আওয়ামী লীগে যারা মনোনয়ন পাবেন না, তাদের অনেকেই মনোনয়নের আশায় নতুন এই দলে যোগ দিতে পারে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐ নতুন দলের প্রক্রিয়া শুরু হলেও, নির্বাচনে এরকম একটি দল কি করবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
These people are the creator mythology called "How-aabhabhon". No one believe them. Read the headline , look at which sider and move on.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন