‘গ্রেফপ্তারকৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত, ঈদের উৎসব থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছেন- শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের পথ দেখিয়েছে। একদিকে প্রশংসা আরেক দিকে বর্বোরচিত দমন-পীড়ন এক অদ্ভুত দ্বিচারি সরকার। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে প্রতারণা করতেও এরা বেপরোয়া। ন্যায্য আন্দোলন সরকারের কাছে অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজধানীরর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী কারাবন্দি ২২ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন শিক্ষার্থীরা তাদের পথ দেখিয়েছে। আবার তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ছাত্ররা কোটা সংস্কার চেয়েছে তারা বলছে সকল কোটা বাতিল। আবার এই ছাত্রদের মেরে হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এক অদ্ভুত দ্বিচারি সরকার।
রিজভী বলেন, সচিব পর্যায়ের কমিটি, সকল কোটা তুলে দেওয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছে তা আবারো একটি প্রতারণা। আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করে কোটা সংস্কারের আরও প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অথচ আদালতের কোন রায় নেই, পর্যবেক্ষন আছে। আন্দোলতরত শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল চায় না তারা কোটা সংস্কার চায়। কিন্তু আবারও সব কোটা বাতিল করার প্রস্তাব মানেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও প্রতারনার কৌশল অবলম্বন। এটিও আরেকটি প্রহসন।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে রক্তে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের স্কুল ড্রেস। আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে এবং তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
ঈদের আগেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নিপীড়নের শৃঙ্খলে আটকে রাখা হয়েছে বেগ্ম জিয়াকে। আইনী প্রক্রিয়ার নামে আওয়ামী সরকারি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে জুলুম ও অত্যাচার। অবৈধ সরকার নিজেদের নিরাপদ রাখতেই এ জুলুম ও অত্যাচার। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিপদ মনে করে। তাই গণতন্ত্রে স্বীকৃত মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বয়ে যাওয়া আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রীকে নিয়ে তাদের যত ভয় ও আতঙ্ক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন