সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার সামনে হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ফয়জুর রহমান রাজু নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। তিনি সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক। এ ছাড়া বেশ কজন আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরের কুমারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপি নেতারা তার বাসায় অবস্থান করছিলেন।
রাত সোয়া ১১টায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজু। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. দেবব্রত রায় জানান, আহতদের মধ্যে রাজু নামের এক যুবককে হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন।
নিহত ছাত্রদল নেতা ফয়জুর রহমান রাজু
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শনিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে মেয়র আরিফের গাড়িবহরের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে নগরের কুমারপাড়া এলাকায় তার বাসায় যান ছাত্রদলকর্মী উজ্জ্বল, রাজুসহ তিনজন। আরিফুল হককে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় তিনজন একই মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন। গলির ভেতর থেকে কুমারপাড়া পয়েন্ট সংলগ্ন গলির মুখে আসা মাত্র শাহি ঈদগাহের দিক থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে ছাত্রদলের কয়েকজন এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা স্টাম্প, দা-সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন এক যুবক সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় পদবঞ্চিত ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ উজ্জ্বলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
তবে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন