বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে ফেঁসে গেছেন দুই যুবলীগ নেতা।
শুক্রবার রাতের এ ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাসহ চারজনকে আসামি করে পুলিশ বাদি হয়ে শনিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত চারজন হলেন- মাটাই গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে চামরুল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবদুল হান্নান, একই গ্রামের নুরুল ফকিরের ছেলে যুবলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম, টেমা গ্রামের বাবুল আলীর ছেলে শাকিল প্রামানিক এবং চামরুল গ্রামের আলহাজ মকবুলের ছেলে নুরুল ইসলাম।
চামরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান আলীসহ অন্যরা জানান, প্রায় ২ মাস আগে জোহাল মাটাই গ্রামের আকবর আলী প্রামানিকের ছেলে জামিল ওরফে মুলাকে মোবাইল ফোন চোর সন্দেহে সালিশে জরিমানা করা হয়। এতে লোকলজ্জায় তিনি (মুলা) আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে তার ভাই সোহেল রানা থানায় মামলা করেন। এতে সোহেল রানার সঙ্গে ইউপি সদস্য হান্নানের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আসামিরা আপোসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এদিকে সোহেল রানাকে ফাঁসাতে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে যুবলীগ নেতা আবদুল হান্নান তার সমিতির কার্যালয়ে টানানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেন। রাতেই তিনি থানায় গিয়ে প্রতিপক্ষ সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিশ্চিত হন যে, ঘটনাটি সাজানো। পরে যুবলীগ নেতা ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান, তার সঙ্গী সাজেদুল ইসলাম, শাকিল প্রামানিক ও নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের অপরাধে মামলা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন