সিলেট গোলযোগের কারণে স্থগিত দুটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকার তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি ভোট পড়েছে বিএনপির ধানের শীষে।
গত ৩০ জুলাই সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে ১৩৪টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয় তার মধ্যে ১৩২টির ফলাফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে স্থগিত দুই কেন্দ্রে মোট ভোট, তার এগিয়ে থাকা ভোটের চেয়ে বেশি হওয়ায় আবার ভোট নেয়া ছাড়া তাকে বিজয়ী ঘোষণার সুযোগ ছিল না।
ওই নির্বাচনের ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় শনিবার ভোট হয় গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
কোনো রকমের গোলযোগ ছাড়া এই দুই কেন্দ্রের সিংহভাগ ভোটারই পছন্দ করেছেন আরিফুলকে। তিনি ভোট পেয়েছেন মোট দুই হাজার ১০২ ভোট। আর তার তুলনায় চার ভাগের একভাগ পেয়ে ৫২৭ জনের সমর্থন পান আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান।
এই দুই কেন্দ্রের ভোটের আগে আরিফুল এগিয়েছিলেন চার হাজার ৬২৬ ভোটে। আর শেষ পর্যন্ত তিনি জিতলেন ছয় হাজার ২০১ ভোটে।
চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী আরিফুল পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৯৮ ভোট। আর কামরানের পক্ষে পড়েছে ৮৬ হাজার ৩৯৭ ভোট।
আজ যে দুই কেন্দ্রে ভোট হয়েছে তার মধ্যে হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কামরানের প্রায় তিন গুণ ভোট পান আরিফুল। এখানে ধানের শীষে পড়েছে এক হাজার ৫৩ ভোট। আর নৌকায় পড়ে ৩৫৪ ভোট।
গাজী বোরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যবধার আরও বেশি। এখানে নৌকার ছয় গুণ ভোট পড়েছে ধানের শীষে।
এই কেন্দ্র আরিফুলের পক্ষে রায় দিয়েছেন এক হাজার ৪৯ ভোট। আর কামরানের পক্ষে ছিলেন ১৭৩ জন।
সকালে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেছে ভোটার উপস্থিতি বাড়ে দুপুরের পর। সকালে ভোটের শুরুতে কামরান জানিয়েছিলেন, ফলাফল যাই হোক, তিনি মেনে নেবেন। আর দিনভর কোনো অভিযোগ করেননি কামরান।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন