দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত 'ভিশন ২০৩০' নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিএনপি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি।
২০১৭ সালের ১০ মে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে 'ভিশন ২০৩০' ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এতে আগামীতে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রের উন্নয়নে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট প্রস্তাবনা রয়েছে।
'ভিশন ২০৩০' ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন সভা-সেমিনার করে এর ব্যাপার প্রচারণা চালায় দলটি। ৮ ফেব্রুয়ারি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে এ প্রচারণা একেবারেই থেমে যায়।
বুধবার থেকে ফেসবুক, ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব, মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারসহ বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও ওয়েবসাইটে 'ভিশন ২০৩০' ফের প্রচার করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে সব পেশার ও বয়সের ভোটারদের জানান দিতেই মূলত এই উদ্যোগ বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বিএনপির রিসার্চ টিম বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার এই 'ভিশন ২০৩০' প্রচার করছে। এই রিসার্চ টিমের মূল দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
এ বিষয়ে আমি খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমকালকে বলেন, 'ভিশন ২০৩০'র পুরোটা অনেকের পক্ষে পড়া সম্ভব হয় না। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিকভাবে তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিএনপি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তরুণ প্রজন্মকে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, 'ভিশন ২০৩০' প্রচার করার জন্য ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এবং বিএনপি কমিউনিকেশন, টুইটারে বিএনপি বাংলাদেশ, ইউটিউবে বিএনপি কমিউনিকেশন নামে চ্যানেল করা হয়েছে।
এছাড়া দলের ফেসবুক একাউন্টও রয়েছে। যেখানে ইমেজ আকারে 'ভিশন ২০৩০' এর বিষয়ভিত্তিক প্রতিশ্রুতিগুলো প্রচার করা হচ্ছে। ইমেজ আকারে প্রচার করা হচ্ছে 'পুলিশকে অতিরিক্ত কাজের জন্য 'ওভারটাইম ভাতা' দেওয়া হবে।' 'কৃষি জমি রক্ষায় বহুতল আবাসন গড়া হবে।' 'প্রশাসনিক স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা নিশ্চিতে 'ন্যায়পাল' নিয়োগ করা হবে।' প্রভৃতি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন