সমমনা বামপন্থি ৮টি দলের সমন্বয়ে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ নামের নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। বুধবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর পল্টনস্থ মুক্তি ভবন মিলনায়তনে এই জোটের ঘোষণা দেয়া হয়।
বামপন্থিদের এই জোটে রয়েছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দল।
নতুন এই জোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন জোট শরিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
আমরা ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারার জন্য জোট করছি না উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘আমাদের জোট শুধুমাত্র ভোট সর্বস্ব জোট নয়, এটি নির্বাচন-আন্দোলনের অংশ। প্রয়োজনে আমরা ভোটে অংশগ্রহণ করবো, প্রয়োজনে ভোট বয়কট করবো। প্রধানমন্ত্রী কাছ থেকে যারা রাজনীতিতে পাকা সার্টিফিকেট পেয়েছেন তাদেরকে আমাদের জোটে নেয়া হবে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনসমর্থন রাজপথে। আমাদের শক্তি দুর্বল হলে শাসক শ্রেণি ভিত কেন? আমরা দেশকে বাঁচাতে চাই। আমরা যে সরকার গঠন করবো তা কেমন হবে, সেইগুলো পরে জানানো হবে। আপাতত এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে চাই।’
সেলিম বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সংসদ বহাল রাখলে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে না। তাই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই সরকারকে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনে সংস্কার আনাতে বাধ্য করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন